Saturday 27 April 2013

সব পোশাক কারখানার কাঠামোগত নকশা জমা দেওয়ার নির্দেশ

সব পোশাক কারখানার কাঠামোগত নকশা ও এগুলো কতটা ভার বহন করতে সক্ষম (লোড বিয়ারিং ক্যালকুলেশন) তার বিস্তারিত বিবরণ এক মাসের মধ্যে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর কার্যালয়ে জমা দিতে প্রত্যেক সদস্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাভারের ভবনধসের ঘটনার পরই এ নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিজিএমইএ ভবনে আজ শনিবার বিকেলে পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সমিতি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর যৌথ সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান। 
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নকশা জমা হলে উভয় সমিতির পক্ষ থেকে সেগুলো আবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এর মধ্যে কোনো কারখানায় গরমিল পাওয়া গেলে সেটির লাইসেন্স স্থগিত করা হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে যেসব কারখানায় ভবনের ওপরে জেনারেটর আছে, সেটিও এক মাসের মধ্যে নিচে নামিয়ে আনতে হবে। 
এস এম মান্নান বলেন, সাধারণ সভায় উপস্থিত মালিকেরা সাভারের রানার প্লাজার মালিক, নকশাবিদ, অনুমোদনকারী রাজউকের কর্মকর্তাসহ নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করার জোর দাবি জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় না দেওয়ারও আহ্বান জানান তাঁরা। 
Bangla News
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে পোশাক কারখানার দুজন মালিক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা কথাবার্তা বলছি, আজ রাতেই হয়তো আরও দুই মালিক আত্মসমর্পণ করবেন।’
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বিজিএমইএ আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সাভারে ধসে যাওয়ার ভবনের পাঁচ কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেবে। তবে কারখানাগুলোর কার্যালয় ওই ভবনে থাকায় শ্রমিকদের তালিকার কাগজপত্রও চাপা পড়েছে। তাই ওই সব কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও উত্পাদন ব্যবস্থাপককে (পিএম) সাভারে বিজিএমইএর তথ্যকেন্দ্রে এসে শ্রমিকদের নামের তালিকা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। 
বিজিএমইএর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সাভারের ভবনধসে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা করতে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রত্যেক সদস্যকে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা সাত দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। 
এ ছাড়া সভায় বিকেএমইএর পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার চেক বিজিএমইএর সভাপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আরও সিদ্ধান্ত হয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় একটি তহবিল খোলা হবে। আর তহবিল গঠনে উভয় সমিতিই কাজ করবে। 
সালাম মুর্শেদী আরও জানান, আগামী সোমবার থেকে যথারীতি দেশের সব কারখানা খোলা থাকবে। উত্পাদন হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করে তাঁর কাছে কারখানার নিরাপত্তা চেয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’ 
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর সহসভাপতি আসলাম সানি, বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম প্রমুখ।


Source: prothom-alo

0 comments:

Post a Comment