Saturday, 27 April 2013

মুরাদ জংয়ের সঙ্গে সোহেল রানার সখ্য

ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই—গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দিয়েছেন সাভারের সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। কিন্তু ওপরের ছবিটি তা বলছে না। সরকারদলীয় এই সাংসদের সঙ্গে যুবলীগ নেতা রানার সম্পর্ক কতটা গভীর, ছবিটি দেখলে তা সহজেই বোঝা যায়।
সাভার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মুরাদ জংয়ের পক্ষে হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ রানার নেতৃত্বেই হতো। রানা প্লাজা ধসে পড়ার দিনও মিছিলের প্রস্তুতি চলছিল। 


এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ঈদসহ সব ধরনের উৎসবে সোহেল রানা যেসব পোস্টার ছাপিয়ে টানিয়েছেন, তার সবগুলোতেই মুরাদ জংয়ের ছবি বড় করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোস্টার এখনো সাভারে রয়েছে। তবে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর রানার সন্ত্রাসী বাহিনী অনেক পোস্টার তুলে ফেলেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, রানাকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করেন মুরাদ জং। এখন ভবন ধসের পর যখন সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের তীব্র দাবি উঠেছে, তখনও রানাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুরাদ জং। 
BD News
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশারাফ উদ্দিন খান বলেন, রানা কোনো রাজনীতিবিদ নন। ক্যাডার এবং সাংসদ মুরাদ জংয়ের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। সারাক্ষণ সাংসদের সঙ্গে থাকেন রানা। তিনি অভিযোগ করেন, মুরাদ জং টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের পদ বিক্রি করেন। রানার কাছেও পদ বিক্রি করেছেন।
রানার পারিবারিক ইতিহাস: তাঁর বাবা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মন্ডবের আবদুল খালেক। তিনি এক সময় সাভারের মধ্যপড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ফেরি করে তেল বিক্রি করতেন। এখন তিনি সাভারের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের একজন।
সোহেল রানা জমি ব্যবসার নামে নিরীহ মানুষের জমি দখলও করেন। সাভার বাসস্ট্যান্ডের ইজারা নিয়ে পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাও করেন রানা। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, রানা জমি দেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি দেননি।
রানার পরিবারের সম্পদ: সাভার পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, রানা প্লাজার নির্মাণ শুরু হয় ২০০৭ সালে। এর আগে জায়গাটি ছিল পরিত্যক্ত। পেছনের দিকে ছিল জলাশয়। ভবন নির্মাণ করার আগে বালু ফেলে ভরাট করা হয়। রানা প্লাজার উদ্বোধন হয় ২০১০ সালে। অভিযোগ রয়েছে, ভবনের পেছনের অংশ দখল করেছিলেন রানা। 
সাভার পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, রানা প্লাজার পেছনের অংশ সরকারি খাল হিসেবেই দেখেছেন তিনি। যার নাম ছিল সাধাপুর খাল। সেটি দখল করে ভবন নির্মাণ করেন রানা।


source: prothom-alo

0 comments:

Post a Comment