
পাখির ছোট ভাই আসিফ জানান, রানা প্লাজার ষষ্ঠ তলায় মেশিন অপারেটরের কাজ করতেন পাখি। তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর অন্য একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুই মেয়ে তাঁদের। বড় মেয়ে ইয়াসমিনের বয়স নয় আর ছোট মেয়ে আদরীর বয়স সাত বছর। নিজে উপার্জন করে অভাবের সংসারের বোঝা কমানোর সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন যে পাখি বেগম, এখন দুই পা হারিয়ে তাঁকেই অন্য সবার কাছে বোঝা হয়ে থাকতে হবে বাকি জীবনটা।
Bangladeshi News24
একই হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে দেখা গেল হবিগঞ্জের আরতি রানী দাশকে। ডান পা কেটে তাঁকে বের করে এনেছেন উদ্ধারকর্মীরা। ধসে পড়া ভবনটির সপ্তম তলায় কাজ করতেন তিনি। চার বোনের মধ্যে সবার বড় আরতি। চাকরি করে তিনি টাকা পাঠাতেন গ্রামে। তা দিয়েই চলত অন্য বোনদের পড়ালেখা।
কাতরাতে কাতরাতে আরতি বললেন, ‘এক পা লইয়্যা ক্যামনে কাজ করমু? হের থাইক্যা মরইরা যাওন ভালা ছিল।’ ষষ্ঠ তলায় কাজ করত ১৬ বছরের কিশোরী আন্না। তার ডান হাত চাপা পড়ে। এক দিন পর উদ্ধারকর্মীরা চাপা পড়া হাত কেটে তাকে উদ্ধার করেন। এখন তার ঠাঁই হয়েছে এনাম মেডিকেলের বিছানায়। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আন্না সবার বড়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সে বলে, ‘আমার তো ডাইন হাতটাই গেল গা, অখন আমি সারাটা জীবন ক্যামনে চলব? আমারে কেডা কাজ দিব?’ আন্নাদের এই প্রশ্নের উত্তর এখন কে দেবে?
source: prothom-alo
0 comments:
Post a Comment