Sunday, 28 April 2013

পোশাক কারখানার মালিকদের দুষলেন রানা

http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com/রানা প্লাজা খোলা রাখতে পোশাক কারখানার মালিকেরাই বাধ্য করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ভবনের মালিক সোহেল রানা। আজ রোববার উত্তরায় র্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের পর তিনিসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রশ্ন করলে সোহেল রানা এ দাবি করেন। 
সোহেল রানা বলেন, পোশাক কারখানার মালিকেরাই তাঁকে ভবন খোলা রাখতে বাধ্য করেছিলেন। কারখানার মালিকেরা বলেছিলেন, কাজ বন্ধ থাকলে তাঁদের শিপমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে, ব্যবসার ক্ষতি হবে। সোহেল রানা বলেন, ভবন অতিরিক্ত ওজনের চাপ হচ্ছে-এ ব্যাপারে তিনি বেশ কয়েকবার কারখানার মালিকদের লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। ভবনের নিচে তাঁর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আছে বলে দাবি করেন তিনি। সাংসদ মুরাদ জংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ব্যাপার জানতে চাইলে রানা র্যাবকে বলেন, তিনি দল করেন, সে কারণে সাংসদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা আছে। ঘটনার পরও তিনি সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে পালিয়ে আসার তিনি কোনো ফোন ব্যবহার করতেন না বলে দাবি করেন। 
সোহেল রানা বলেন তিনি সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘটনার দিন আহত হয়ে তিনি একটি হাসপাতাল থেকে চিকিত্সা নেওয়ার পর পালিয়ে যান।
newspapers24
উদ্ধার হওয়া ব্রিফকেসে ফেন্সিডিল
র্যাব কর্মকর্তারা সোহেলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্রিফকেস থেকে দুই বোতল ফেন্সিডিল, পাঁচ ধরনের ট্যাবলেট, পাঁচ প্যাকেট স্যালাইন, একটি কলম, একটি সিগারেটের প্যাকেট, পাঁচটি সুইংগাম, তিনটি মুঠোফোন ও কিছু কাপড় চোপড় জব্দ করেছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিলেন রানা
সাভারের রানা প্লাজার নিজ কার্যালয়ে ছিলেন মালিক সোহেল রানা। ভবনটি ধসে পড়ার পর তিনিও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। একটি ফাঁকা জায়গা দিয়ে সাহায্য চাইলে কয়েকজন স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। আজ উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের পর র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। 
জিয়াউল আহসান বলেন, সোহেল রানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ভবনের নিচের তলার পূর্ব দিকে তিনি তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচজন ছিল। ভবন ধসের পর তিনিসহ পাঁচজনই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। এরপর একটি ফাঁকা জায়গা দিয়ে কয়েকজন স্থানীয় লোকজনকে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। ওই লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। দুই ঘণ্টা সেখানে চিকিত্সা নিয়ে তিনি বের হয়ে আসেন। 
জিয়াউল আহসান বলেন, হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর সোহেল রানা মোহাম্মদপুরে শামীম নামের তাঁর এক বন্ধুর বাসায় উঠেন। সেখানে রাতে অবস্থান করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি মানিকগঞ্জে আফজাল নামের আরেক বন্ধুর বাসায় চলে যান। শুক্রবার রাত পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে পদ্মা নদী পার হয়ে যান ফরিদপুরে অনীল কুমারের বাসায়। সেখানে একদিন ছিলেন তিনি। পরদিন শনিবার রাতে সোহেলকে নিয়ে যশোরের ঝিকড়গাছায় অনীলের বাসায় যান। সেখানে শাহ আলম মিঠুর কাছে সোহেল রানাকে হস্তান্তর করেন অনীল। শাহ আলম সেখান থেকে সোহেল রানাকে বেনাপোলের বলফিল্ড এলাকায় তাঁর বাসায় নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, র্যাব সোহেল রানার সঙ্গে শাহ আলম ও অনীল কুমারকেও গ্রেপ্তার করেছে।


source: prothom-alo

0 comments:

Post a Comment