Tuesday 30 April 2013

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক্যবাদীদের সঙ্গ ছেড়ে তওবা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে আস্তিক্যবাদীদের সঙ্গে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
BD News24
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত ‘শানে রিসালত’ মহাসমাবেশে শাহ আহমদ শফী এই আহ্বান জানান। তিনি আগামী ৫ মের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘১৩ দফা মেনে নিন। না হলে ৫ তারিখে এ দেশ কোন দিকে যাবে, তা আমি জানি না।’ 
আহমদ শফী বলেন, ‘সরকারকে জানাইতেছি, নেত্রীকে জানাইতেছি, তওবা কইরা ১৩ দফা মেনে নিন। ১৩ দফা কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। এই ১৩ দফা দাবির একমাত্র দাবি নাস্তিকদের এ দেশ থেকে তাড়াতে হবে। নাস্তিকবাদীরা এ দেশে থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘সরকার আমার কাছে বার বার লোক পাঠাইছে। আমি বলেছি, আমি একা কোনো ফয়সালা দিতে পারব না। তারা বলে, তোমাদের দাবি মানব। আমি বলেছি, দাবি মাইনা ঘোষণা দিতে হবে। তোমাদের পলিসি আমরা বুঝি। আমরা বেকুব না। আমাদের ধোঁকা দিতে চাইছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আর ধোঁকা খাব না। হয় আমাদের দাবি মানবেন, না হয় শাহাদতবরণ করব।’
নারীদের রাস্তায় চলাফেরা ও পোশাক পরার প্রতি ইঙ্গিত করে শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চলে, বাংলাদেশের নারীদের ওইভাবে চলতে হবে।’ 
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া আল-কওমিয়া বাংলাদেশের (উত্তরবঙ্গ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) ব্যবস্থাপনায় এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উত্তরবঙ্গের সভাপতি বগুড়ার জামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আবদুর রহমান মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি (ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি) নূর হোসাইন কাশেমী বলেন, সাভার ট্র্যাজেডি আল্লাহর গজব। এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। ২৭ এপ্রিল নারী সমাবেশ করার পাঁয়তারা করায় এসব গজব নাজিল হয়েছে।’ 
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মুফতি হারুন ইযাহার, মুফতি ওয়াক্কাস, আবদুল লতিফ নিজামি, আবদুর রউফ ইউসুফী, আবদুর রকিব, মহিউদ্দিন আকরাম, বগুড়া জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা শামছুল ইসলাম প্রমুখ।
বেলা ১১টা থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়। সংগঠনের প্রধান আল্লামা আহমদ শফী বেলা তিনটারর দিকে চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে বগুড়ায় আসেন। তিনি শহরের বনানীতে সুলতানগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামেন। সেখান থেকে জামিল মাদ্রাসায় বিশ্রাম করে বিকেল চারটায় মহাসমাবেশে যোগ দেন। এই মহাসমাবেশে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে হেফাজতের কর্মীরা যোগ দেন। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও শার্ট ও গেঞ্জি পরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষকে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে বিএনপি-সমর্থিত চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) পক্ষ থেকে চিকিত্সা ক্যাম্প খোলা হয়। 
এদিকে গত শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই মহাসমাবেশে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা জানানো হয়েছিল। বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা বলা হলেও সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। 

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অবরুদ্ধ বগুড়া শহর
হেফাজতে ইসলামের এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ বগুড়া শহর কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার অদূরে সূত্রাপুরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই হেফাজতে ইসলামের স্বেচ্ছাসেবীরা অবস্থান নেন। বেশ কয়েকটি সড়ক নিজেরাই বন্ধ করে দিয়ে বাইরের জেলা থেকে আসা কর্মী বহনকারী যানবাহন প্রবেশের সুযোগ করে দেন। এতে ওই সব এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
মহাসমাবেশ বেলা ১১টায় ডাকা হলেও সকাল নয়টার পর থেকেই শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর সড়ক, গোহাইল সড়ক, স্টেশন সড়ক, জব্বার সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি সড়কে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সাতমাথা-শেরপুর সড়কের পিটিআই মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের দোকানপাটও বন্ধ ছিল। একই অবস্থা ছিল গোহাইল ও স্টেশন সড়কে। জলেশ্বরীতলা এলাকার অনেক বিপণিবিতান ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিনভর বন্ধ রাখেন।

source: prothom-alo

বগুড়ায় মহাসমাবেশে আহমদ শফী, ৫ তারিখে দেশ কোন দিকে যাবে জানি না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক্যবাদীদের সঙ্গ ছেড়ে তওবা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে আস্তিক্যবাদীদের সঙ্গে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
BD News24
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত ‘শানে রিসালত’ মহাসমাবেশে শাহ আহমদ শফী এই আহ্বান জানান। তিনি আগামী ৫ মের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘১৩ দফা মেনে নিন। না হলে ৫ তারিখে এ দেশ কোন দিকে যাবে, তা আমি জানি না।’ 
আহমদ শফী বলেন, ‘সরকারকে জানাইতেছি, নেত্রীকে জানাইতেছি, তওবা কইরা ১৩ দফা মেনে নিন। ১৩ দফা কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। এই ১৩ দফা দাবির একমাত্র দাবি নাস্তিকদের এ দেশ থেকে তাড়াতে হবে। নাস্তিকবাদীরা এ দেশে থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘সরকার আমার কাছে বার বার লোক পাঠাইছে। আমি বলেছি, আমি একা কোনো ফয়সালা দিতে পারব না। তারা বলে, তোমাদের দাবি মানব। আমি বলেছি, দাবি মাইনা ঘোষণা দিতে হবে। তোমাদের পলিসি আমরা বুঝি। আমরা বেকুব না। আমাদের ধোঁকা দিতে চাইছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আর ধোঁকা খাব না। হয় আমাদের দাবি মানবেন, না হয় শাহাদতবরণ করব।’
নারীদের রাস্তায় চলাফেরা ও পোশাক পরার প্রতি ইঙ্গিত করে শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চলে, বাংলাদেশের নারীদের ওইভাবে চলতে হবে।’ 
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া আল-কওমিয়া বাংলাদেশের (উত্তরবঙ্গ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) ব্যবস্থাপনায় এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উত্তরবঙ্গের সভাপতি বগুড়ার জামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আবদুর রহমান মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি (ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি) নূর হোসাইন কাশেমী বলেন, সাভার ট্র্যাজেডি আল্লাহর গজব। এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। ২৭ এপ্রিল নারী সমাবেশ করার পাঁয়তারা করায় এসব গজব নাজিল হয়েছে।’ 
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মুফতি হারুন ইযাহার, মুফতি ওয়াক্কাস, আবদুল লতিফ নিজামি, আবদুর রউফ ইউসুফী, আবদুর রকিব, মহিউদ্দিন আকরাম, বগুড়া জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা শামছুল ইসলাম প্রমুখ।
বেলা ১১টা থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়। সংগঠনের প্রধান আল্লামা আহমদ শফী বেলা তিনটারর দিকে চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে বগুড়ায় আসেন। তিনি শহরের বনানীতে সুলতানগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামেন। সেখান থেকে জামিল মাদ্রাসায় বিশ্রাম করে বিকেল চারটায় মহাসমাবেশে যোগ দেন। এই মহাসমাবেশে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে হেফাজতের কর্মীরা যোগ দেন। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও শার্ট ও গেঞ্জি পরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষকে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে বিএনপি-সমর্থিত চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) পক্ষ থেকে চিকিত্সা ক্যাম্প খোলা হয়। 
এদিকে গত শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই মহাসমাবেশে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা জানানো হয়েছিল। বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা বলা হলেও সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। 

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অবরুদ্ধ বগুড়া শহর
হেফাজতে ইসলামের এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ বগুড়া শহর কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার অদূরে সূত্রাপুরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই হেফাজতে ইসলামের স্বেচ্ছাসেবীরা অবস্থান নেন। বেশ কয়েকটি সড়ক নিজেরাই বন্ধ করে দিয়ে বাইরের জেলা থেকে আসা কর্মী বহনকারী যানবাহন প্রবেশের সুযোগ করে দেন। এতে ওই সব এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
মহাসমাবেশ বেলা ১১টায় ডাকা হলেও সকাল নয়টার পর থেকেই শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর সড়ক, গোহাইল সড়ক, স্টেশন সড়ক, জব্বার সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি সড়কে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সাতমাথা-শেরপুর সড়কের পিটিআই মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের দোকানপাটও বন্ধ ছিল। একই অবস্থা ছিল গোহাইল ও স্টেশন সড়কে। জলেশ্বরীতলা এলাকার অনেক বিপণিবিতান ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিনভর বন্ধ রাখেন।

source: prothom-alo
রানা প্লাজা ধসে পড়ার পরের দিন উদ্ধার করা হয় পাখি বেগমকে। উদ্ধারের সময় তাঁর দুটি পা-ই কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। দুই পা হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া পাখি বেগম তেমন কোনো কথাই বলছেন না; শুধুই কাঁদছেন। অত্যন্ত ক্ষীণ স্বরে আকুতি জানিয়ে তিনি বললেন, ‘আমার পা ফিরাই দেন...পা ফিরাই দেন।’ 
পাখির ছোট ভাই আসিফ জানান, রানা প্লাজার ষষ্ঠ তলায় মেশিন অপারেটরের কাজ করতেন পাখি। তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর অন্য একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুই মেয়ে তাঁদের। বড় মেয়ে ইয়াসমিনের বয়স নয় আর ছোট মেয়ে আদরীর বয়স সাত বছর। নিজে উপার্জন করে অভাবের সংসারের বোঝা কমানোর সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন যে পাখি বেগম, এখন দুই পা হারিয়ে তাঁকেই অন্য সবার কাছে বোঝা হয়ে থাকতে হবে বাকি জীবনটা। 
Bangladeshi News24
একই হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে দেখা গেল হবিগঞ্জের আরতি রানী দাশকে। ডান পা কেটে তাঁকে বের করে এনেছেন উদ্ধারকর্মীরা। ধসে পড়া ভবনটির সপ্তম তলায় কাজ করতেন তিনি। চার বোনের মধ্যে সবার বড় আরতি। চাকরি করে তিনি টাকা পাঠাতেন গ্রামে। তা দিয়েই চলত অন্য বোনদের পড়ালেখা। 
কাতরাতে কাতরাতে আরতি বললেন, ‘এক পা লইয়্যা ক্যামনে কাজ করমু? হের থাইক্যা মরইরা যাওন ভালা ছিল।’ ষষ্ঠ তলায় কাজ করত ১৬ বছরের কিশোরী আন্না। তার ডান হাত চাপা পড়ে। এক দিন পর উদ্ধারকর্মীরা চাপা পড়া হাত কেটে তাকে উদ্ধার করেন। এখন তার ঠাঁই হয়েছে এনাম মেডিকেলের বিছানায়। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আন্না সবার বড়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সে বলে, ‘আমার তো ডাইন হাতটাই গেল গা, অখন আমি সারাটা জীবন ক্যামনে চলব? আমারে কেডা কাজ দিব?’ আন্নাদের এই প্রশ্নের উত্তর এখন কে দেবে?

source: prothom-alo

‘আমার পা ফিরাই দেন’

রানা প্লাজা ধসে পড়ার পরের দিন উদ্ধার করা হয় পাখি বেগমকে। উদ্ধারের সময় তাঁর দুটি পা-ই কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। দুই পা হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া পাখি বেগম তেমন কোনো কথাই বলছেন না; শুধুই কাঁদছেন। অত্যন্ত ক্ষীণ স্বরে আকুতি জানিয়ে তিনি বললেন, ‘আমার পা ফিরাই দেন...পা ফিরাই দেন।’ 
পাখির ছোট ভাই আসিফ জানান, রানা প্লাজার ষষ্ঠ তলায় মেশিন অপারেটরের কাজ করতেন পাখি। তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর অন্য একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুই মেয়ে তাঁদের। বড় মেয়ে ইয়াসমিনের বয়স নয় আর ছোট মেয়ে আদরীর বয়স সাত বছর। নিজে উপার্জন করে অভাবের সংসারের বোঝা কমানোর সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন যে পাখি বেগম, এখন দুই পা হারিয়ে তাঁকেই অন্য সবার কাছে বোঝা হয়ে থাকতে হবে বাকি জীবনটা। 
Bangladeshi News24
একই হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে দেখা গেল হবিগঞ্জের আরতি রানী দাশকে। ডান পা কেটে তাঁকে বের করে এনেছেন উদ্ধারকর্মীরা। ধসে পড়া ভবনটির সপ্তম তলায় কাজ করতেন তিনি। চার বোনের মধ্যে সবার বড় আরতি। চাকরি করে তিনি টাকা পাঠাতেন গ্রামে। তা দিয়েই চলত অন্য বোনদের পড়ালেখা। 
কাতরাতে কাতরাতে আরতি বললেন, ‘এক পা লইয়্যা ক্যামনে কাজ করমু? হের থাইক্যা মরইরা যাওন ভালা ছিল।’ ষষ্ঠ তলায় কাজ করত ১৬ বছরের কিশোরী আন্না। তার ডান হাত চাপা পড়ে। এক দিন পর উদ্ধারকর্মীরা চাপা পড়া হাত কেটে তাকে উদ্ধার করেন। এখন তার ঠাঁই হয়েছে এনাম মেডিকেলের বিছানায়। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আন্না সবার বড়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সে বলে, ‘আমার তো ডাইন হাতটাই গেল গা, অখন আমি সারাটা জীবন ক্যামনে চলব? আমারে কেডা কাজ দিব?’ আন্নাদের এই প্রশ্নের উত্তর এখন কে দেবে?

source: prothom-alo
সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শিরীন শারমিন চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার স্পিকার পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। 
News24
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইতিহাসে শিরীন শারমিন প্রথম নারী স্পিকার। এর আগে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইতিহাসে সংরক্ষিত নারী কোটার কোনো সাংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ বা হুইপ নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই।
আজ বিকেল সোয়া পাঁচটায় ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী স্পিকার পদে শিরীন শারমিনের নাম প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমীন। 
এ সময় ভারপ্রাপ্ত স্পিকার বলেন, স্পিকার পদে নির্বাচনের জন্য মাত্র একটি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় শিরীন শারমিনকে স্পিকার পদে নির্বাচন করা যেতে পারে। এরপর শওকত আলী সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রস্তাবটি ভোটে দেন এবং তা সর্বসম্মতভাবে কণ্ঠভোটে পাস হয়। 
জাতীয় সংসদের স্পিকার মো. আবদুল হামিদ ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর স্পিকারের পদটি শূন্য হয়।

এ বিজয় নারীর
রাতে অধিবেশন শেষে সংসদের শপথকক্ষে নবনির্বাচিত স্পিকারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, হুইপ এবং সাংসদদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 
শপথ শেষে নিজ কক্ষে শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আনন্দিত। সম্মানিত। সাংবিধানিক এ পদে নারী হিসেবে স্পিকারের দায়িত্ব পাওয়ায় ও সুযোগ করে দেওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এ অর্জন দেশের সকল নারীর। এ বিজয় নারীর।’ 
বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘আগামী অধিবেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিরোধী দল আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’ 

সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন
শিরীন শারমিন চৌধুরী সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৩১ এর সদস্য। ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত তিনি সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এক-এগারোর সরকারের সময় শেখ হাসিনা যখন কারারুদ্ধ ছিলেন, তখন তাঁর আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ছিলেন শিরীন শারমিন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করলে শিরীন শারমিন ২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী কোটায় সাংসদ নির্বাচিত হন এবং সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তাঁকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 
শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা রফিকউল্যাহ চৌধুরী, মা নাইয়ার সুলতানা। তিনি ১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে এসএসসি এবং ১৯৮৫ সালে একই বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে (সম্মান) এবং ১৯৯০ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। দুটিতেই তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। এ ছাড়া তিনি ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবাধিকার ও সাংবিধানিক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি (পিএইচডি) নেন।
শিরীন শারমিন ২০০০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল লিগ্যাল এডুকেশন উপকমিটির সদস্য এবং ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য নির্বাচিত হন

source: prothom-alo

এ বিজয় নারীর: স্পিকার, প্রথম নারী স্পিকার হলেন শিরীন শারমিন

সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শিরীন শারমিন চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার স্পিকার পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করা হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। 
News24
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইতিহাসে শিরীন শারমিন প্রথম নারী স্পিকার। এর আগে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইতিহাসে সংরক্ষিত নারী কোটার কোনো সাংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ বা হুইপ নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই।
আজ বিকেল সোয়া পাঁচটায় ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী স্পিকার পদে শিরীন শারমিনের নাম প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সংসদের হুইপ সাগুফতা ইয়াসমীন। 
এ সময় ভারপ্রাপ্ত স্পিকার বলেন, স্পিকার পদে নির্বাচনের জন্য মাত্র একটি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় শিরীন শারমিনকে স্পিকার পদে নির্বাচন করা যেতে পারে। এরপর শওকত আলী সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রস্তাবটি ভোটে দেন এবং তা সর্বসম্মতভাবে কণ্ঠভোটে পাস হয়। 
জাতীয় সংসদের স্পিকার মো. আবদুল হামিদ ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর স্পিকারের পদটি শূন্য হয়।

এ বিজয় নারীর
রাতে অধিবেশন শেষে সংসদের শপথকক্ষে নবনির্বাচিত স্পিকারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, হুইপ এবং সাংসদদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 
শপথ শেষে নিজ কক্ষে শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আনন্দিত। সম্মানিত। সাংবিধানিক এ পদে নারী হিসেবে স্পিকারের দায়িত্ব পাওয়ায় ও সুযোগ করে দেওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এ অর্জন দেশের সকল নারীর। এ বিজয় নারীর।’ 
বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘আগামী অধিবেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিরোধী দল আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’ 

সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবন
শিরীন শারমিন চৌধুরী সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৩১ এর সদস্য। ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত তিনি সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এক-এগারোর সরকারের সময় শেখ হাসিনা যখন কারারুদ্ধ ছিলেন, তখন তাঁর আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ছিলেন শিরীন শারমিন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করলে শিরীন শারমিন ২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী কোটায় সাংসদ নির্বাচিত হন এবং সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তাঁকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 
শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা রফিকউল্যাহ চৌধুরী, মা নাইয়ার সুলতানা। তিনি ১৯৮৩ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে এসএসসি এবং ১৯৮৫ সালে একই বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে (সম্মান) এবং ১৯৯০ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। দুটিতেই তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। এ ছাড়া তিনি ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবাধিকার ও সাংবিধানিক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি (পিএইচডি) নেন।
শিরীন শারমিন ২০০০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল লিগ্যাল এডুকেশন উপকমিটির সদস্য এবং ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য নির্বাচিত হন

source: prothom-alo

আশা করি প্রধানমন্ত্রীও আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন: খালেদা

‘মানবতার স্বার্থে’ বিএনপির হরতাল স্থগিত



বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল আগামী ২ মে ডাকা হরতাল স্থগিত করেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে হরতাল স্থগিত করার ঘোষণা দেন। 
সাভারে ভবনধসের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ও সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে ওই হরতাল ডাকা হয়েছিল।
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com
গণমাধ্যমে পাঠানো বিরোধীদলীয় নেতার বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ‘মানবতার স্বার্থে, জাতীয় ট্র্যাজেডির এই সময়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবার সুযোগ করে দিতে’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানের সই করা বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা যেভাবে জাতীয় স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিচ্ছি, আশা করি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীও সেভাবেই আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ খুলে দেবেন। 
খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সম্মত হয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেবেন বলে আমরা আশা করি।’  Hortal Day News24
বিবৃতিতে সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি, জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ এবং পোশাক খাত রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ আশা করা হয়।
এসব প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ না নিলে স্থগিত করা হরতাল আবার দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। 
খালেদার অভিযোগ, বিরোধী দলের হরতাল ভাঙার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশে, প্রশাসনের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জোর করে ফাটল ধরা ভবনে সেদিন পোশাক কর্মীদের ঢুকিয়ে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এরপর পুরো চক্রটি মিলে অপরাধী রানাকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। 
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাভার ট্র্যাজেডি কীভাবে ঘটেছে, তা ইতিমধ্যে দেশবাসী জেনেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে যতই অস্বীকার করুন না কেন, সকলেই জানে যে মূল অপরাধী ঘৃণ্য সন্ত্রাসী সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যই তাঁর সকল সন্ত্রাস ও অপকর্মের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা গডফাদার। সে কারণেই স্থানীয় প্রশাসন হয়ে উঠেছিল এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসীর হাতের পুতুল।’ 
সাভারে ভবনধসের পর উদ্ধার তত্পরতা নিয়ে সরকার ক্ষমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে বিরোধীদলীয় নেতা অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডসহ সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে নিয়োজিত করলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও কমানো সম্ভব হতো। খালেদা জিয়া বলেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা না করে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি দলের প্রশস্তি করানোর দিকেই সরকারের বেশি আগ্রহ লক্ষ করা গেছে।’ 
খালেদা জিয়া বলেন, উদ্ধার তত্পরতায় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং টর্চলাইট, অক্সিজেন, পানি, স্যালাইন, কাটারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য জনগণের কাছে ক্রমাগত আবেদন প্রমাণ করেছে যে, সরকার এই সামান্য জিনিসগুলোও জোগান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, এত অযোগ্যতা সত্ত্বেও সরকার উদ্ধারকাজে ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থাগুলোর সহায়তার প্রস্তাব কেন প্রত্যাখ্যান করল, তা-ও দেশবাসীর কাছে বোধগম্য নয়।
বিরোধীদলীয় নেতার অভিযোগ, সরকার ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে তা নিজেরা পালন করেনি। সংসদ অধিবেশন স্থগিত করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাষ্ট্রীয় স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বহাল রেখে ট্রেন উদ্বোধন করেন। সাভার ট্র্যাজেডির দিনেও রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানমালা অব্যাহত রাখা হয়। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়, জাতীয় এই শোকের আবহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মিসভা করে সেখানে তাঁর স্বভাবসুলভ আপত্তিকর ভাষায় বিরোধী দলকে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছেন। আর এখন তিনি মানবতার দোহাই দিয়ে বিরোধী দলকে হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছেন।’

source:  prothom-alo

‘মানবতার স্বার্থে’ বিএনপির হরতাল স্থগিত


আশা করি প্রধানমন্ত্রীও আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন: খালেদা

‘মানবতার স্বার্থে’ বিএনপির হরতাল স্থগিত



বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল আগামী ২ মে ডাকা হরতাল স্থগিত করেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে হরতাল স্থগিত করার ঘোষণা দেন। 
সাভারে ভবনধসের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ও সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে ওই হরতাল ডাকা হয়েছিল।
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com
গণমাধ্যমে পাঠানো বিরোধীদলীয় নেতার বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ‘মানবতার স্বার্থে, জাতীয় ট্র্যাজেডির এই সময়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবার সুযোগ করে দিতে’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানের সই করা বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা যেভাবে জাতীয় স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিচ্ছি, আশা করি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীও সেভাবেই আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ খুলে দেবেন। 
খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সম্মত হয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেবেন বলে আমরা আশা করি।’  Hortal Day News24
বিবৃতিতে সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি, জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ এবং পোশাক খাত রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ আশা করা হয়।
এসব প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ না নিলে স্থগিত করা হরতাল আবার দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। 
খালেদার অভিযোগ, বিরোধী দলের হরতাল ভাঙার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নির্দেশে, প্রশাসনের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে জোর করে ফাটল ধরা ভবনে সেদিন পোশাক কর্মীদের ঢুকিয়ে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এরপর পুরো চক্রটি মিলে অপরাধী রানাকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। 
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাভার ট্র্যাজেডি কীভাবে ঘটেছে, তা ইতিমধ্যে দেশবাসী জেনেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে যতই অস্বীকার করুন না কেন, সকলেই জানে যে মূল অপরাধী ঘৃণ্য সন্ত্রাসী সোহেল রানা সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যই তাঁর সকল সন্ত্রাস ও অপকর্মের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা গডফাদার। সে কারণেই স্থানীয় প্রশাসন হয়ে উঠেছিল এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসীর হাতের পুতুল।’ 
সাভারে ভবনধসের পর উদ্ধার তত্পরতা নিয়ে সরকার ক্ষমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে বিরোধীদলীয় নেতা অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডসহ সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে নিয়োজিত করলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও কমানো সম্ভব হতো। খালেদা জিয়া বলেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা না করে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি দলের প্রশস্তি করানোর দিকেই সরকারের বেশি আগ্রহ লক্ষ করা গেছে।’ 
খালেদা জিয়া বলেন, উদ্ধার তত্পরতায় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং টর্চলাইট, অক্সিজেন, পানি, স্যালাইন, কাটারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য জনগণের কাছে ক্রমাগত আবেদন প্রমাণ করেছে যে, সরকার এই সামান্য জিনিসগুলোও জোগান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, এত অযোগ্যতা সত্ত্বেও সরকার উদ্ধারকাজে ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থাগুলোর সহায়তার প্রস্তাব কেন প্রত্যাখ্যান করল, তা-ও দেশবাসীর কাছে বোধগম্য নয়।
বিরোধীদলীয় নেতার অভিযোগ, সরকার ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে তা নিজেরা পালন করেনি। সংসদ অধিবেশন স্থগিত করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাষ্ট্রীয় স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বহাল রেখে ট্রেন উদ্বোধন করেন। সাভার ট্র্যাজেডির দিনেও রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানমালা অব্যাহত রাখা হয়। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়, জাতীয় এই শোকের আবহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মিসভা করে সেখানে তাঁর স্বভাবসুলভ আপত্তিকর ভাষায় বিরোধী দলকে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছেন। আর এখন তিনি মানবতার দোহাই দিয়ে বিরোধী দলকে হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছেন।’

source:  prothom-alo
সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে।
গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার ভবনধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৭ জনে পৌঁছেছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত ব্যক্তি বা লাশ উদ্ধারে সেনাবাহিনী ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করছে।
Bangladeshi News24
এদিকে ধ্বংসস্তূপের আশপাশে প্রিয়জনের অপেক্ষায় স্বজনেরা ভিড় করে আছেন। স্বজনদের খোঁজে আসা অনেক ব্যক্তিকে আজ সকাল আটটার দিকে দুটি বাসে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাখা ৫২টি লাশ শনাক্ত করতে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০টি ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২২টি মরদেহ রাখা হয়েছে। 
সাভার থানা-পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, তাঁদের তথ্যমতে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য ৯৪৩ জন ভর্তি রয়েছেন। 
গতকাল বেরা সাড়ে তিনটার দিকে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানায়, এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সাভার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১০৭, সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে ২১৪ এবং অন্যান্য হাসপাতালে ৭৪ জন চিকিত্সাধীন আছেন। অন্যরা চিকিত্সা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে সরকারিভাবে এখনো নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সংখ্যা জানানো হয়নি।
গত রোববার রাত ১১টার পর ভারী যন্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ও যন্ত্রনির্ভর বলে এ কাজে কোনো স্বেচ্ছাসেবককে রাখা হয়নি।
২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে নয় তলাবিশিষ্ট রানা প্লাজা ভবনটি ধসে পড়ে।

source: prothom-alo

উদ্ধারকাজে ডগ স্কোয়াড, মৃতের সংখ্যা ৩৮৭

সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে।
গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার ভবনধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৭ জনে পৌঁছেছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত ব্যক্তি বা লাশ উদ্ধারে সেনাবাহিনী ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করছে।
Bangladeshi News24
এদিকে ধ্বংসস্তূপের আশপাশে প্রিয়জনের অপেক্ষায় স্বজনেরা ভিড় করে আছেন। স্বজনদের খোঁজে আসা অনেক ব্যক্তিকে আজ সকাল আটটার দিকে দুটি বাসে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাখা ৫২টি লাশ শনাক্ত করতে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০টি ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২২টি মরদেহ রাখা হয়েছে। 
সাভার থানা-পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, তাঁদের তথ্যমতে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য ৯৪৩ জন ভর্তি রয়েছেন। 
গতকাল বেরা সাড়ে তিনটার দিকে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানায়, এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সাভার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১০৭, সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে ২১৪ এবং অন্যান্য হাসপাতালে ৭৪ জন চিকিত্সাধীন আছেন। অন্যরা চিকিত্সা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে সরকারিভাবে এখনো নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সংখ্যা জানানো হয়নি।
গত রোববার রাত ১১টার পর ভারী যন্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ও যন্ত্রনির্ভর বলে এ কাজে কোনো স্বেচ্ছাসেবককে রাখা হয়নি।
২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে নয় তলাবিশিষ্ট রানা প্লাজা ভবনটি ধসে পড়ে।

source: prothom-alo

Monday 29 April 2013

সহজে বাঁকানো সম্ভব ও নমনীয় ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন তৈরিতে কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এলজি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
News24
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোন প্রযুক্তির উন্নয়নে নমনীয় ডিসপ্লে তৈরির বিষয়টি বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবেই ধরা হচ্ছে। শিগগিরই নমনীয় বা বাঁকানো ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আনবে এলজি।
দীর্ঘদিন ধরেই নমনীয় বা সহজেই ভাঁজ করা সম্ভব, এমন ডিসপ্লে তৈরির কথা বলছেন গবেষকেরা। ২০১২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং বাঁকানো ডিসপ্লে প্রদর্শন করেছিল। গবেষকেরা জানিয়েছেন, স্যামসাং ছাড়াও নমনীয় ডিসপ্লে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে নকিয়া।
সাধারণত স্মার্টফোন তৈরিতে কাচ ব্যবহার করার কারণে তা পড়ে গেলে সহজেই ভেঙে যায় এবং ওজনে ভারী হয়। নমনীয় ডিসপ্লে তৈরিতে কাচের পরিবর্তে নমনীয় প্লাস্টিক ফিল্ম ব্যবহার করা হয়।
স্মার্টফোন ছাড়াও নমনীয় এই স্ক্রিন স্মার্ট-ওয়াচ বা স্মার্ট হাতঘড়ির জন্য মানানসই। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, নমনীয় ডিসপ্লে প্রযুক্তির স্মার্টফোন এমনকি স্মার্ট হাতঘড়িও তৈরি করতে পারে এলজি।
এলজি মোবাইল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এলজির ডিসপ্লে বিভাগের তৈরি নমনীয় ওএলইডি স্ক্রিনযুক্ত একটি স্মার্টফোন চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসতে পারে।
এদিকে বাজার-বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের বাজারে শক্ত অবস্থান দখল করছে এলজি। বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে স্যামসাং ও অ্যাপলের পরের স্থানটি এলজির।


source: prothom-alo

নমনীয় স্মার্টফোন আনছে এলজি

সহজে বাঁকানো সম্ভব ও নমনীয় ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন তৈরিতে কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এলজি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
News24
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোন প্রযুক্তির উন্নয়নে নমনীয় ডিসপ্লে তৈরির বিষয়টি বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবেই ধরা হচ্ছে। শিগগিরই নমনীয় বা বাঁকানো ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আনবে এলজি।
দীর্ঘদিন ধরেই নমনীয় বা সহজেই ভাঁজ করা সম্ভব, এমন ডিসপ্লে তৈরির কথা বলছেন গবেষকেরা। ২০১২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আরেক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং বাঁকানো ডিসপ্লে প্রদর্শন করেছিল। গবেষকেরা জানিয়েছেন, স্যামসাং ছাড়াও নমনীয় ডিসপ্লে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে নকিয়া।
সাধারণত স্মার্টফোন তৈরিতে কাচ ব্যবহার করার কারণে তা পড়ে গেলে সহজেই ভেঙে যায় এবং ওজনে ভারী হয়। নমনীয় ডিসপ্লে তৈরিতে কাচের পরিবর্তে নমনীয় প্লাস্টিক ফিল্ম ব্যবহার করা হয়।
স্মার্টফোন ছাড়াও নমনীয় এই স্ক্রিন স্মার্ট-ওয়াচ বা স্মার্ট হাতঘড়ির জন্য মানানসই। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, নমনীয় ডিসপ্লে প্রযুক্তির স্মার্টফোন এমনকি স্মার্ট হাতঘড়িও তৈরি করতে পারে এলজি।
এলজি মোবাইল বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এলজির ডিসপ্লে বিভাগের তৈরি নমনীয় ওএলইডি স্ক্রিনযুক্ত একটি স্মার্টফোন চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসতে পারে।
এদিকে বাজার-বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের বাজারে শক্ত অবস্থান দখল করছে এলজি। বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে স্যামসাং ও অ্যাপলের পরের স্থানটি এলজির।


source: prothom-alo

এক অনলাইন ভোটিংয়ে ভারতে ২০১২ সালের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী নির্বাচিত হয়েছেন বলিউডের
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com
অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।

অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে সম্প্রতি ভারতের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ৫০ জন নারীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ‘টাইমস’। সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী নির্বাচনের এ প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়েছেন সাত লাখের বেশি মানুষ। তালিকায় দীপিকার পরের দুটি অবস্থানে আছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও কারিনা কাপুর। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছেন যথাক্রমে চিত্রাঙ্গদা সিং ও সানি লিওন। জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’। 
তালিকার সেরা দশে ঠাঁই পেয়েছেন প্রিয়াংকা চোপড়া, বিপাশা বসু, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, নার্গিস ফাখরি ও সোনাক্ষী সিনহা। অল্পের জন্য সেরা দশে জায়গা পাননি সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও তারকা অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তিনি ১১তম অবস্থানে রয়েছেন। 
Entertainment News 24
তালিকায় আরও আছেন কঙ্গনা রনৌত, আলিয়া ভাট, মালাইকা অরোরা খান, আনুশকা শর্মা, শ্রদ্ধা কাপুর, সোনম কাপুর, ইলিয়ানা ডি ক্রুজ, তামান্না, শার্লিন চোপড়া, আমিশা প্যাটেল, দিয়া মির্জা, মল্লিকা শেরাওয়াত, প্রাচী মিশ্রা, পুনম পান্ডে প্রমুখ।
এই সাফল্যের পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দীপিকা বলেন, ‘আমার কাজ ও ব্যক্তিত্ব পছন্দ করে বলেই আমাকে সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন সবাই। চলচ্চিত্রজগতে আসার আগে এ শিল্পের সঙ্গে আমার কিংবা আমার পরিবারের কারও সম্পৃক্ততা ছিল না। তার পরও অল্প সময়ে আমার যে অর্জন, এমনটা পেতে চান অনেকেই। সম্ভবত, এ কারণেই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী নির্বাচিত হয়েছি আমি।’


source: prothom-alo

ভারতে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী দীপিকা


এক অনলাইন ভোটিংয়ে ভারতে ২০১২ সালের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী নির্বাচিত হয়েছেন বলিউডের
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com
অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।

অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে সম্প্রতি ভারতের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ৫০ জন নারীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ‘টাইমস’। সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী নির্বাচনের এ প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়েছেন সাত লাখের বেশি মানুষ। তালিকায় দীপিকার পরের দুটি অবস্থানে আছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও কারিনা কাপুর। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছেন যথাক্রমে চিত্রাঙ্গদা সিং ও সানি লিওন। জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’। 
তালিকার সেরা দশে ঠাঁই পেয়েছেন প্রিয়াংকা চোপড়া, বিপাশা বসু, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, নার্গিস ফাখরি ও সোনাক্ষী সিনহা। অল্পের জন্য সেরা দশে জায়গা পাননি সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও তারকা অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তিনি ১১তম অবস্থানে রয়েছেন। 
Entertainment News 24
তালিকায় আরও আছেন কঙ্গনা রনৌত, আলিয়া ভাট, মালাইকা অরোরা খান, আনুশকা শর্মা, শ্রদ্ধা কাপুর, সোনম কাপুর, ইলিয়ানা ডি ক্রুজ, তামান্না, শার্লিন চোপড়া, আমিশা প্যাটেল, দিয়া মির্জা, মল্লিকা শেরাওয়াত, প্রাচী মিশ্রা, পুনম পান্ডে প্রমুখ।
এই সাফল্যের পেছনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দীপিকা বলেন, ‘আমার কাজ ও ব্যক্তিত্ব পছন্দ করে বলেই আমাকে সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন সবাই। চলচ্চিত্রজগতে আসার আগে এ শিল্পের সঙ্গে আমার কিংবা আমার পরিবারের কারও সম্পৃক্ততা ছিল না। তার পরও অল্প সময়ে আমার যে অর্জন, এমনটা পেতে চান অনেকেই। সম্ভবত, এ কারণেই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নারী নির্বাচিত হয়েছি আমি।’


source: prothom-alo
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comশিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার হচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল শিরিন শারমিন চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কাল জাতীয় সংসদে নতুন স্পিকার নির্বাচন হবে। 
News In Bangladesh
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, শিরিন শারমিন চৌধুরীকে সর্বসম্মতভাবে স্পিকার পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার দূর্ঘটনার পর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন। পরে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই বৈঠকে স্পিকার মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ পর্যায়ে তিনি দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্পিকার পদে নাম ঘোষণার আহ্বান জানান।
সৈয়দ আশরাফ দলের ভবিষ্যত্, নতুন নেতৃত্ব এবং নারীর প্রতি মর্যাদার কথাতুলে ধরে স্পিকার হিসাবে শিরিন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। এসময় তুমুল করতালি দিয়ে সাংসদেরা তা সমর্থন করেন। পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিনসহ কয়েকজন স্পিকার হিসাবে শিরিন শারমিন চৌধুরীকে সমর্থন করে বক্তব্য দেন। 
বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের মনোনয়নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে একটা ইতিহাস সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতার পর স্পিকার পদেও নারী আসছেন। এ তিনটি পদে নারী পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
সংসদীয় দলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


source: prothom-alo

কাল স্পিকার নির্বাচন, প্রথম নারী স্পিকার হচ্ছেন শিরীন শারমিন

http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comশিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার হচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল শিরিন শারমিন চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কাল জাতীয় সংসদে নতুন স্পিকার নির্বাচন হবে। 
News In Bangladesh
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, শিরিন শারমিন চৌধুরীকে সর্বসম্মতভাবে স্পিকার পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার দূর্ঘটনার পর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন। পরে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই বৈঠকে স্পিকার মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ পর্যায়ে তিনি দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্পিকার পদে নাম ঘোষণার আহ্বান জানান।
সৈয়দ আশরাফ দলের ভবিষ্যত্, নতুন নেতৃত্ব এবং নারীর প্রতি মর্যাদার কথাতুলে ধরে স্পিকার হিসাবে শিরিন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। এসময় তুমুল করতালি দিয়ে সাংসদেরা তা সমর্থন করেন। পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিনসহ কয়েকজন স্পিকার হিসাবে শিরিন শারমিন চৌধুরীকে সমর্থন করে বক্তব্য দেন। 
বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের মনোনয়নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে একটা ইতিহাস সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতার পর স্পিকার পদেও নারী আসছেন। এ তিনটি পদে নারী পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
সংসদীয় দলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


source: prothom-alo
সাভারে ভবনধসের ঘটনায় করা দুই মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ওয়াসিম শেখের আদালতে সাভার থানায় করা পুলিশের মামলায় সোহেল রানাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় সোহেল রানাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
সাভার থানায় করা মামলা ও ইমারত আইনে করা মামলায় রানা প্লাজার ইথার ট্যাক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে ১২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সাভার থানায় করা মামলায় আনিসুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ; আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইমারত আইনে করা মামলায় আনিসুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ; আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  
Breaking News 24
সাভার থানায় করা পুলিশের মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া শাহ আলম মিঠু ও অনিল মালিককে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সোহেল রানাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে কয়েকজন আইনজীবী সোহেল রানার পক্ষে দাঁড়াতে চান। এ সময় অন্য আইনজীবীরা তাঁদের বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত সোহেল রানার পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী আবেদন করেননি।
আদালতের আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, ‘সোহেল রানার উচিত ছিল উদ্ধারকাজে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু তিনি তা না করে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছি। এ ঘটনায় আমরা আইনজীবীরাও ক্ষুব্ধ।’ ঢাকা আইনজীবী সমিতি সোহেল রানাকে কোনো সহায়তা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান। 
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও জানান, সাভার থানায় করা মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সোহেল রানার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। ইমারত আইনে করা মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে।



source: prothom-alo

সোহেল রানা ১৫ দিনের রিমান্ডে

সাভারে ভবনধসের ঘটনায় করা দুই মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ওয়াসিম শেখের আদালতে সাভার থানায় করা পুলিশের মামলায় সোহেল রানাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় সোহেল রানাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
সাভার থানায় করা মামলা ও ইমারত আইনে করা মামলায় রানা প্লাজার ইথার ট্যাক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে ১২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সাভার থানায় করা মামলায় আনিসুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ; আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইমারত আইনে করা মামলায় আনিসুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ; আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  
Breaking News 24
সাভার থানায় করা পুলিশের মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া শাহ আলম মিঠু ও অনিল মালিককে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সোহেল রানাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে কয়েকজন আইনজীবী সোহেল রানার পক্ষে দাঁড়াতে চান। এ সময় অন্য আইনজীবীরা তাঁদের বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত সোহেল রানার পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী আবেদন করেননি।
আদালতের আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, ‘সোহেল রানার উচিত ছিল উদ্ধারকাজে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু তিনি তা না করে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছি। এ ঘটনায় আমরা আইনজীবীরাও ক্ষুব্ধ।’ ঢাকা আইনজীবী সমিতি সোহেল রানাকে কোনো সহায়তা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান। 
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও জানান, সাভার থানায় করা মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সোহেল রানার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। ইমারত আইনে করা মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে।



source: prothom-alo
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comচার বছর পর টেস্ট জয়। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর চতুর্থ বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ সমান করা এই জয়ের পরও উচ্ছ্বাসের আতিশয্য নেই বাংলাদেশ দলে। দেশে সাভারের ভবনধসে অসংখ্য মৃত্যু ঢেকে দিয়েছে সব আনন্দ, সব উচ্ছ্বাস।
Bangladesh Cricket Team
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই জয় উৎসর্গ করেছেন সাভারের ভবনধসে মৃত্যুবরণ করা মানুষের প্রতি। 
সাভারের ভবনধসের পরদিন শুরু হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি। ওই দিন দেশে জাতীয়ভাবে শোক পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দল হাতে পরেছিল শোকের প্রতীক কালো রঙের ব্যান্ড। টেস্ট ম্যাচটি জিতে সাকিব-মুশফিক-রবিউল-জিয়ারা দেশের শোকাচ্ছন্ন মানুষের মুখে একটু হলেও হাসির পরশ বুলিয়ে দিলেন। 
এই শোকাকুল সময়েও দেশবাসীর স্যালুট তাদের প্রাপ্যই!


মুশফিকদের হৃদয়জুড়ে সাভার

http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comচার বছর পর টেস্ট জয়। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর চতুর্থ বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ সমান করা এই জয়ের পরও উচ্ছ্বাসের আতিশয্য নেই বাংলাদেশ দলে। দেশে সাভারের ভবনধসে অসংখ্য মৃত্যু ঢেকে দিয়েছে সব আনন্দ, সব উচ্ছ্বাস।
Bangladesh Cricket Team
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই জয় উৎসর্গ করেছেন সাভারের ভবনধসে মৃত্যুবরণ করা মানুষের প্রতি। 
সাভারের ভবনধসের পরদিন শুরু হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি। ওই দিন দেশে জাতীয়ভাবে শোক পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দল হাতে পরেছিল শোকের প্রতীক কালো রঙের ব্যান্ড। টেস্ট ম্যাচটি জিতে সাকিব-মুশফিক-রবিউল-জিয়ারা দেশের শোকাচ্ছন্ন মানুষের মুখে একটু হলেও হাসির পরশ বুলিয়ে দিলেন। 
এই শোকাকুল সময়েও দেশবাসীর স্যালুট তাদের প্রাপ্যই!


সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হতভাগ্যা শাহীনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিনভর উদ্ধারকর্মীরা শাহীনাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা করেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাহীনার মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনা হয়। তাঁর মরদেহ অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নেওয়া হয়েছে।
Breaking News Online
গতকাল সকালে ভারী যন্ত্র দিয়ে সাভারের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু ধসে পড়া ভবনের তৃতীয় তলায় শাহীনাসহ কয়েকজন জীবিত রয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা নিশ্চিত হন। এ জন্য ওই অভিযান স্থগিত করা হয়। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়া শাহীনাকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টার সময় তৈরি করা সুড়ঙ্গে রাত ১০টার দিকে আগুন লাগে। এ সময় উদ্ধারকর্মীরা নিরাপদে বের হয়ে এলেও শাহীনাকে উদ্ধার করতে পারেননি। সেখান থেকে রাত দেড়টার দিকেও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা যায়। ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ওপর থেকে সেখানে পানি ছিটাচ্ছিলেন। পরে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হতভাগ্য শাহীনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


source: prothom-alo

হতভাগ্যা শাহীনার মরদেহ উদ্ধার

সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হতভাগ্যা শাহীনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিনভর উদ্ধারকর্মীরা শাহীনাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা করেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাহীনার মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনা হয়। তাঁর মরদেহ অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নেওয়া হয়েছে।
Breaking News Online
গতকাল সকালে ভারী যন্ত্র দিয়ে সাভারের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু ধসে পড়া ভবনের তৃতীয় তলায় শাহীনাসহ কয়েকজন জীবিত রয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা নিশ্চিত হন। এ জন্য ওই অভিযান স্থগিত করা হয়। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়া শাহীনাকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টার সময় তৈরি করা সুড়ঙ্গে রাত ১০টার দিকে আগুন লাগে। এ সময় উদ্ধারকর্মীরা নিরাপদে বের হয়ে এলেও শাহীনাকে উদ্ধার করতে পারেননি। সেখান থেকে রাত দেড়টার দিকেও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা যায়। ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ওপর থেকে সেখানে পানি ছিটাচ্ছিলেন। পরে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হতভাগ্য শাহীনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


source: prothom-alo
হারারেতে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের কাছে ৩৩৫ রানের বড় হার। তবে আজ সোমবার সমাপ্ত দ্বিতীয় টেস্টে ১৪৩ রানের জয় তুলে নিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ।

দীর্ঘ চার বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আগের টেস্ট জয়টা এসেছিল ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আজকের জয়টা বাংলাদেশের চতুর্থ। 
গতকাল টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। আজ ম্যাচ যতই এগিয়ে যাচ্ছিল, সুবাসের তীব্রতা বাড়ছিল তত। বাংলাদেশ প্রত্যাশিত জয় পেলেও ‘পথের কাঁটা’ হয়ে ছিলেন জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
৪ উইকেটে ১৩৮ রান নিয়ে আজ টেস্টের শেষ দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। তবে নিজেদের ইনিংসটা বেশি দূর নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি স্বাগতিকেরা। জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ২৫৭ রানে। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। গতকাল তিনি ৪৬ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। আজও তাঁকে ফেরানো সম্ভব হয়নি। ম্যাচ শেষ হওয়ার সময় ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন মাসাকাদজা।  
News24
বাংলাদেশের সফলতম বোলার জিয়াউর রহমান। গতকাল দুটি উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। আজ আরও দুটি উইকেট শিকার করেন এই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। গতকাল দুই উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসান আজ একটি উইকেট নেন।
এই টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে ৩৯১ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ২৮২ রানে। ৯ উইকেটে ২৯১ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৯১/১০
সাকিব ৮১, নাসির ৭৭, মুশফিকুর ৬০, তামিম ৪৯
চিগুম্বুরা ৩/৭৫, মেথ ২/৪১, ক্রেমার ২/১০৯
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৮২/১০
চিগুম্বুরা ৮৬, মুতুম্বামি ৪২, টেলর ৩৬, ওয়ালার ৩২
রবিউল ৫/৮৫, সোহাগ ৪/৫৯
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯১/৯, ঘোষণা
মুশফিকুর ৯৩, নাসির ৬৭*, সাকিব ৫৯
শিঙ্গি ৪/৫৮, মাসাকাদজা ৩/২৪
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ২৫৭/১০
মাসাকাদজা ১১১*, সিবান্দা ৩২, শিঙ্গি ২৪, চাকাবা ২২
জিয়াউর ৪/৬৩, সাকিব ৩/৫২
ফল: বাংলাদেশ ১৪৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১-এ সমতা।


source: prothom-alo

চার বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ

হারারেতে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের কাছে ৩৩৫ রানের বড় হার। তবে আজ সোমবার সমাপ্ত দ্বিতীয় টেস্টে ১৪৩ রানের জয় তুলে নিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ।

দীর্ঘ চার বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আগের টেস্ট জয়টা এসেছিল ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আজকের জয়টা বাংলাদেশের চতুর্থ। 
গতকাল টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। আজ ম্যাচ যতই এগিয়ে যাচ্ছিল, সুবাসের তীব্রতা বাড়ছিল তত। বাংলাদেশ প্রত্যাশিত জয় পেলেও ‘পথের কাঁটা’ হয়ে ছিলেন জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।
৪ উইকেটে ১৩৮ রান নিয়ে আজ টেস্টের শেষ দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। তবে নিজেদের ইনিংসটা বেশি দূর নিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি স্বাগতিকেরা। জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ২৫৭ রানে। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। গতকাল তিনি ৪৬ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। আজও তাঁকে ফেরানো সম্ভব হয়নি। ম্যাচ শেষ হওয়ার সময় ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন মাসাকাদজা।  
News24
বাংলাদেশের সফলতম বোলার জিয়াউর রহমান। গতকাল দুটি উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। আজ আরও দুটি উইকেট শিকার করেন এই মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। গতকাল দুই উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসান আজ একটি উইকেট নেন।
এই টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে ৩৯১ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ২৮২ রানে। ৯ উইকেটে ২৯১ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৯১/১০
সাকিব ৮১, নাসির ৭৭, মুশফিকুর ৬০, তামিম ৪৯
চিগুম্বুরা ৩/৭৫, মেথ ২/৪১, ক্রেমার ২/১০৯
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৮২/১০
চিগুম্বুরা ৮৬, মুতুম্বামি ৪২, টেলর ৩৬, ওয়ালার ৩২
রবিউল ৫/৮৫, সোহাগ ৪/৫৯
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯১/৯, ঘোষণা
মুশফিকুর ৯৩, নাসির ৬৭*, সাকিব ৫৯
শিঙ্গি ৪/৫৮, মাসাকাদজা ৩/২৪
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ২৫৭/১০
মাসাকাদজা ১১১*, সিবান্দা ৩২, শিঙ্গি ২৪, চাকাবা ২২
জিয়াউর ৪/৬৩, সাকিব ৩/৫২
ফল: বাংলাদেশ ১৪৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১-এ সমতা।


source: prothom-alo

Sunday 28 April 2013

আগামী ৯ মে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি এই তারিখে ফল প্রকাশের অনুমতি দেন, তাহলে এদিন ফল প্রকাশ করা হবে। newspapers24
আজ রোববার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে ফল প্রকাশ করা হবে।’
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হয়। সে অনুযায়ী ৯ মে ফল প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে মার্চে শেষ হয়।


source: prothom-alo

৯ মে এসএসসির ফল প্রকাশের প্রস্তাব

আগামী ৯ মে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি এই তারিখে ফল প্রকাশের অনুমতি দেন, তাহলে এদিন ফল প্রকাশ করা হবে। newspapers24
আজ রোববার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে ফল প্রকাশ করা হবে।’
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হয়। সে অনুযায়ী ৯ মে ফল প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে মার্চে শেষ হয়।


source: prothom-alo

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের ধসে পড়া ভবনের মালিক সোহেল রানাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের এক প্রতিবাদ সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ এই অভিযোগ আনেন। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সাভারের রানা প্লাজায় যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা সবাই জানত। আগেই গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল। প্রশ্ন হলো, কারা জোর করে ওই দিন পোশাকশ্রমিকদের রানা প্লাজায় ঢুকিয়েছিল?’ তিনি অভিযোগ করেন, সেদিন হরতাল ঠেকানোর জন্য তাঁদের আসতে বাধ্য করা হয়েছিল। কারখানায় না এলে বিএনপি-জামায়াত হিসেবে তাঁদের নাম লেখানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, স্থানীয় সাংসদ মুরাদ জংসহ দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সাভারে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের যুক্ত করা হয়নি বলে দাবি করে মওদুদ বলেন, পিলখানার মতো সরকার সাভারেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। 
Bangladeshnewspapers24
সোহেল রানা যুবলীগের কেউ নয় বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে সাফাই গেয়েছেন। জেনেশুনে এ কথা বলে সোহেল রানাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মোশাররফ অভিযোগ করেন, সোহেল রানাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে সরকার। সাভারের ঘটনায় দায়ী মালিকপক্ষকে বাঁচানোর নানা ফন্দিফিকির চলছে। মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
১৮ দলের সমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের ঘটনাকে রানা প্লাজার ফাটলের সঙ্গে তুলনা করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, রানা প্লাজার ফাটলের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিকেও যদি সরকার তোয়াক্কা না করে, তাহলে রাজনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে। এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

source: prothom-alo

১৮ দলের সমাবেশে অভিযোগ, সোহেল রানাকে পালানোর সুযোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের ধসে পড়া ভবনের মালিক সোহেল রানাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলের এক প্রতিবাদ সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ এই অভিযোগ আনেন। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সাভারের রানা প্লাজায় যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা সবাই জানত। আগেই গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল। প্রশ্ন হলো, কারা জোর করে ওই দিন পোশাকশ্রমিকদের রানা প্লাজায় ঢুকিয়েছিল?’ তিনি অভিযোগ করেন, সেদিন হরতাল ঠেকানোর জন্য তাঁদের আসতে বাধ্য করা হয়েছিল। কারখানায় না এলে বিএনপি-জামায়াত হিসেবে তাঁদের নাম লেখানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, স্থানীয় সাংসদ মুরাদ জংসহ দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সাভারে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের যুক্ত করা হয়নি বলে দাবি করে মওদুদ বলেন, পিলখানার মতো সরকার সাভারেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। 
Bangladeshnewspapers24
সোহেল রানা যুবলীগের কেউ নয় বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে সাফাই গেয়েছেন। জেনেশুনে এ কথা বলে সোহেল রানাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মোশাররফ অভিযোগ করেন, সোহেল রানাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে সরকার। সাভারের ঘটনায় দায়ী মালিকপক্ষকে বাঁচানোর নানা ফন্দিফিকির চলছে। মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
১৮ দলের সমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের ঘটনাকে রানা প্লাজার ফাটলের সঙ্গে তুলনা করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, রানা প্লাজার ফাটলের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিকেও যদি সরকার তোয়াক্কা না করে, তাহলে রাজনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে। এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

source: prothom-alo
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com/রানা প্লাজা খোলা রাখতে পোশাক কারখানার মালিকেরাই বাধ্য করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ভবনের মালিক সোহেল রানা। আজ রোববার উত্তরায় র্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের পর তিনিসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রশ্ন করলে সোহেল রানা এ দাবি করেন। 
সোহেল রানা বলেন, পোশাক কারখানার মালিকেরাই তাঁকে ভবন খোলা রাখতে বাধ্য করেছিলেন। কারখানার মালিকেরা বলেছিলেন, কাজ বন্ধ থাকলে তাঁদের শিপমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে, ব্যবসার ক্ষতি হবে। সোহেল রানা বলেন, ভবন অতিরিক্ত ওজনের চাপ হচ্ছে-এ ব্যাপারে তিনি বেশ কয়েকবার কারখানার মালিকদের লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। ভবনের নিচে তাঁর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আছে বলে দাবি করেন তিনি। সাংসদ মুরাদ জংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ব্যাপার জানতে চাইলে রানা র্যাবকে বলেন, তিনি দল করেন, সে কারণে সাংসদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা আছে। ঘটনার পরও তিনি সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে পালিয়ে আসার তিনি কোনো ফোন ব্যবহার করতেন না বলে দাবি করেন। 
সোহেল রানা বলেন তিনি সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘটনার দিন আহত হয়ে তিনি একটি হাসপাতাল থেকে চিকিত্সা নেওয়ার পর পালিয়ে যান।
newspapers24
উদ্ধার হওয়া ব্রিফকেসে ফেন্সিডিল
র্যাব কর্মকর্তারা সোহেলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্রিফকেস থেকে দুই বোতল ফেন্সিডিল, পাঁচ ধরনের ট্যাবলেট, পাঁচ প্যাকেট স্যালাইন, একটি কলম, একটি সিগারেটের প্যাকেট, পাঁচটি সুইংগাম, তিনটি মুঠোফোন ও কিছু কাপড় চোপড় জব্দ করেছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিলেন রানা
সাভারের রানা প্লাজার নিজ কার্যালয়ে ছিলেন মালিক সোহেল রানা। ভবনটি ধসে পড়ার পর তিনিও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। একটি ফাঁকা জায়গা দিয়ে সাহায্য চাইলে কয়েকজন স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। আজ উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের পর র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। 
জিয়াউল আহসান বলেন, সোহেল রানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ভবনের নিচের তলার পূর্ব দিকে তিনি তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচজন ছিল। ভবন ধসের পর তিনিসহ পাঁচজনই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। এরপর একটি ফাঁকা জায়গা দিয়ে কয়েকজন স্থানীয় লোকজনকে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। ওই লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। দুই ঘণ্টা সেখানে চিকিত্সা নিয়ে তিনি বের হয়ে আসেন। 
জিয়াউল আহসান বলেন, হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর সোহেল রানা মোহাম্মদপুরে শামীম নামের তাঁর এক বন্ধুর বাসায় উঠেন। সেখানে রাতে অবস্থান করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি মানিকগঞ্জে আফজাল নামের আরেক বন্ধুর বাসায় চলে যান। শুক্রবার রাত পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে পদ্মা নদী পার হয়ে যান ফরিদপুরে অনীল কুমারের বাসায়। সেখানে একদিন ছিলেন তিনি। পরদিন শনিবার রাতে সোহেলকে নিয়ে যশোরের ঝিকড়গাছায় অনীলের বাসায় যান। সেখানে শাহ আলম মিঠুর কাছে সোহেল রানাকে হস্তান্তর করেন অনীল। শাহ আলম সেখান থেকে সোহেল রানাকে বেনাপোলের বলফিল্ড এলাকায় তাঁর বাসায় নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, র্যাব সোহেল রানার সঙ্গে শাহ আলম ও অনীল কুমারকেও গ্রেপ্তার করেছে।


source: prothom-alo

পোশাক কারখানার মালিকদের দুষলেন রানা

http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com/রানা প্লাজা খোলা রাখতে পোশাক কারখানার মালিকেরাই বাধ্য করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ভবনের মালিক সোহেল রানা। আজ রোববার উত্তরায় র্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের পর তিনিসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রশ্ন করলে সোহেল রানা এ দাবি করেন। 
সোহেল রানা বলেন, পোশাক কারখানার মালিকেরাই তাঁকে ভবন খোলা রাখতে বাধ্য করেছিলেন। কারখানার মালিকেরা বলেছিলেন, কাজ বন্ধ থাকলে তাঁদের শিপমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে, ব্যবসার ক্ষতি হবে। সোহেল রানা বলেন, ভবন অতিরিক্ত ওজনের চাপ হচ্ছে-এ ব্যাপারে তিনি বেশ কয়েকবার কারখানার মালিকদের লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। ভবনের নিচে তাঁর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আছে বলে দাবি করেন তিনি। সাংসদ মুরাদ জংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ব্যাপার জানতে চাইলে রানা র্যাবকে বলেন, তিনি দল করেন, সে কারণে সাংসদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা আছে। ঘটনার পরও তিনি সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে পালিয়ে আসার তিনি কোনো ফোন ব্যবহার করতেন না বলে দাবি করেন। 
সোহেল রানা বলেন তিনি সাভার পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঘটনার দিন আহত হয়ে তিনি একটি হাসপাতাল থেকে চিকিত্সা নেওয়ার পর পালিয়ে যান।
newspapers24
উদ্ধার হওয়া ব্রিফকেসে ফেন্সিডিল
র্যাব কর্মকর্তারা সোহেলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্রিফকেস থেকে দুই বোতল ফেন্সিডিল, পাঁচ ধরনের ট্যাবলেট, পাঁচ প্যাকেট স্যালাইন, একটি কলম, একটি সিগারেটের প্যাকেট, পাঁচটি সুইংগাম, তিনটি মুঠোফোন ও কিছু কাপড় চোপড় জব্দ করেছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিলেন রানা
সাভারের রানা প্লাজার নিজ কার্যালয়ে ছিলেন মালিক সোহেল রানা। ভবনটি ধসে পড়ার পর তিনিও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। একটি ফাঁকা জায়গা দিয়ে সাহায্য চাইলে কয়েকজন স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। আজ উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের পর র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। 
জিয়াউল আহসান বলেন, সোহেল রানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ভবনের নিচের তলার পূর্ব দিকে তিনি তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচজন ছিল। ভবন ধসের পর তিনিসহ পাঁচজনই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। এরপর একটি ফাঁকা জায়গা দিয়ে কয়েকজন স্থানীয় লোকজনকে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। ওই লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। দুই ঘণ্টা সেখানে চিকিত্সা নিয়ে তিনি বের হয়ে আসেন। 
জিয়াউল আহসান বলেন, হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর সোহেল রানা মোহাম্মদপুরে শামীম নামের তাঁর এক বন্ধুর বাসায় উঠেন। সেখানে রাতে অবস্থান করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি মানিকগঞ্জে আফজাল নামের আরেক বন্ধুর বাসায় চলে যান। শুক্রবার রাত পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে পদ্মা নদী পার হয়ে যান ফরিদপুরে অনীল কুমারের বাসায়। সেখানে একদিন ছিলেন তিনি। পরদিন শনিবার রাতে সোহেলকে নিয়ে যশোরের ঝিকড়গাছায় অনীলের বাসায় যান। সেখানে শাহ আলম মিঠুর কাছে সোহেল রানাকে হস্তান্তর করেন অনীল। শাহ আলম সেখান থেকে সোহেল রানাকে বেনাপোলের বলফিল্ড এলাকায় তাঁর বাসায় নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, র্যাব সোহেল রানার সঙ্গে শাহ আলম ও অনীল কুমারকেও গ্রেপ্তার করেছে।


source: prothom-alo
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comর‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেছেন, সাভারে রানা প্লাজা ধসের দিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় সোহেল রানা আত্মগোপন করেছিলেন। গোপন সূত্রে র‌্যাব জানতে পারে, সোহেল রানা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বেনাপোল সীমান্তে গেছেন। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত র‌্যাব মূল অপরাধীকে ধরতে পেরেছে। 
আজ রোববার বিকেলে গ্রেপ্তারের পর সোহেল রানাকে র‌্যাবের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক। 
News In Bangladesh
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘রানা প্লাজা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও ভবনের মালিক সোহেল রানা শ্রমিকদের সেখানে কাজ করতে বাধ্য করেন। আমরা সবাই জানি, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য মূলত সোহেল রানা দায়ী।’ সোহেল রানার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রভাবশালীরা কেউ সোহেল রানাকে আশ্রয় দিয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, প্রভাবশালীরা তাঁকে প্রশ্রয় দেননি। কেউ প্রশ্রয় দিলে তিনি এক জায়গাতেই থাকতেন। কিন্তু সোহেল রানা ঘটনার দিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন।
র‌্যাবের মহাপরিচালক আরও জানান, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে ইমারত আইনে মামলা হবে। এ ছাড়া তাঁর কাছে ফেনসিডিল থাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।


source: prothom-alo.com

বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন রানা: র‌্যাব

http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comর‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেছেন, সাভারে রানা প্লাজা ধসের দিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় সোহেল রানা আত্মগোপন করেছিলেন। গোপন সূত্রে র‌্যাব জানতে পারে, সোহেল রানা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বেনাপোল সীমান্তে গেছেন। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত র‌্যাব মূল অপরাধীকে ধরতে পেরেছে। 
আজ রোববার বিকেলে গ্রেপ্তারের পর সোহেল রানাকে র‌্যাবের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক। 
News In Bangladesh
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘রানা প্লাজা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও ভবনের মালিক সোহেল রানা শ্রমিকদের সেখানে কাজ করতে বাধ্য করেন। আমরা সবাই জানি, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য মূলত সোহেল রানা দায়ী।’ সোহেল রানার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রভাবশালীরা কেউ সোহেল রানাকে আশ্রয় দিয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, প্রভাবশালীরা তাঁকে প্রশ্রয় দেননি। কেউ প্রশ্রয় দিলে তিনি এক জায়গাতেই থাকতেন। কিন্তু সোহেল রানা ঘটনার দিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন।
র‌্যাবের মহাপরিচালক আরও জানান, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে ইমারত আইনে মামলা হবে। এ ছাড়া তাঁর কাছে ফেনসিডিল থাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।


source: prothom-alo.com

সাভারে ধসে যাওয়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে আজ রোববার বিকেলে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল আজ বেলা তিনটার দিকে সোহেলকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে। হেলিকপ্টারে করে তাঁকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরও প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক আজ বেলা সোয়া তিনটার দিকে সাভারে ভবনধসের উদ্ধার তৎপরতার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাইকে রানাকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘যে মানুষরূপী পশুটি এখানে মরণফাঁদ তৈরি করেছিল, দেশ ছেড়ে পালানোর সময় তাকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ ঘোষণার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত উদ্ধারকর্মী ও জনতা ‘ফাঁসি ফাঁসি’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। 

খুলনায় নিষ্ফল অভিযান


রানাকে ধরতে আজ খুলনায় নিষ্ফল অভিযান চালায় র‌্যাব-পুলিশের একটি দল। বেলা সোয়া ১১টার দিকে খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, রানা খুলনায় পলাতক আছেন—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-পুলিশের একটি দল খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ৮ নম্বর সড়কে জনৈক মোস্তফা মল্লিকের ১৩৯-এ ও ১৩৯-বি নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায়। পৌনে এক ঘণ্টা ওই দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভবনধস


২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঢাকার অদূরে সাভারে নয় তলার রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে আজ বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ৩৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক লোক। ভবনধসের পরই রানা প্লাজার মালিক ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা পালিয়ে যান।

দুটি মামলা


ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে। দুটি মামলাই হয়েছে ভবনধসের পরে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করেছে ইমারত বিধিমালা আইনে আর অপরটি হয়েছে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে। সাভার থানার পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছে। এ ছাড়া রানার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। থানার পুলিশের কাছে তাঁর মামলার কোনো রেকর্ডও নেই।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে রানা প্লাজার অভ্যন্তরে যুবলীগের নেতা গাজী আবদুল্লাহ খুনের ঘটনায় আসামি ছিলেন রানা। তবে তদন্তের পর পুলিশ অভিযোগপত্র থেকে রানার নাম বাদ দেয়। ২০০৮ সালে ভিপি হেলাল গুম ও হত্যার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সাভারের মাদক ব্যবসায়ী মুন্না ছিল তাঁরই আশ্রয়ে। কিছুদিন আগে মুন্নার মৃতদেহ পাওয়া যায় সাভারের একটি জলাশয়ে। ধারণা করা হয়, তিনি গুপ্তহত্যার শিকার।
News24

তথ্য পেতে স্বজন আটক


রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারে তথ্য জোগাড়ের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রী মিতুসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার মানিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। তবে পুলিশ বলেছে, সোহেল রানার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর ও তাঁর স্ত্রী মুন্নি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। 
জাহাঙ্গীরের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত বুধবার ভবনধসের পর জাহাঙ্গীর স্ত্রী মুন্নিকে নিয়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে যান। গত বৃহস্পতিবার সাভার থানার পুলিশ সেখান থেকে তিন মাসের শিশুসহ মুন্নি ও তাঁর আত্মীয় আনোয়ারকে আটক করে। এর পর শুক্রবার জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়।

পারিবারিক ইতিহাস


দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সোহেল রানা দ্বিতীয়। স্থানীয় অধরচন্দ্র হাইস্কুলে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। তাঁর বাবা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মণ্ডপের আবদুল খালেক। তিনি এক সময় সাভারের মধ্যপড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ফেরি করে তেল বিক্রি করতেন। এখন তিনি সাভারের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের একজন। সোহেল রানা জমির ব্যবসার নামে নিরীহ মানুষের জমিও দখল করেন। সাভার বাসস্ট্যান্ডের ইজারা নিয়ে পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাও করেন রানা। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, রানা জমি দেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি দেননি।

পরিবারের সম্পদ

সাভার পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, রানা প্লাজার নির্মাণ শুরু হয় ২০০৭ সালে। এর আগে জায়গাটি ছিল পরিত্যক্ত। পেছনের দিকে ছিল জলাশয়। ভবন নির্মাণ করার আগে বালু ফেলে ভরাট করা হয়। রানা প্লাজার উদ্বোধন হয় ২০১০ সালে। অভিযোগ রয়েছে, ভবনের পেছনের অংশ দখল করেছিলেন রানা। সাভার পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, রানা প্লাজার পেছনের অংশ সরকারি খাল হিসেবেই দেখেছেন তিনি। যার নাম ছিল সাধাপুর খাল। সেটি দখল করে ভবন নির্মাণ করেন রানা।

মুরাদ জংয়ের সঙ্গে সখ্য

রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই—গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দিয়েছেন সাভারের সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। কিন্তু সাভার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মুরাদ জংয়ের পক্ষে হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ রানার নেতৃত্বেই হতো। রানা প্লাজা ধসে পড়ার দিনও মিছিলের প্রস্তুতি চলছিল।
এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদসহ সব ধরনের উৎসবে সোহেল রানা যেসব পোস্টার ছাপিয়ে টানিয়েছেন, তার সবগুলোতেই মুরাদ জংয়ের ছবি বড় করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোস্টার এখনো সাভারে রয়েছে। তবে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর রানার সন্ত্রাসী বাহিনী অনেক পোস্টার তুলে ফেলেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, রানাকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করেন মুরাদ জং। এখন ভবনধসের পর যখন সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের তীব্র দাবি উঠেছে, তখনো রানাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুরাদ জং।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশারাফ উদ্দিন খান বলেন, রানা কোনো রাজনীতিবিদ নন। ক্যাডার এবং সাংসদ মুরাদ জংয়ের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। সারাক্ষণ সাংসদের সঙ্গে থাকেন রানা। তিনি অভিযোগ করেন, মুরাদ জং টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের পদ বিক্রি করেন। রানার কাছেও পদ বিক্রি করেছেন।


source: prothom-alo

সোহেল রানা গ্রেপ্তার


সাভারে ধসে যাওয়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে আজ রোববার বিকেলে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল আজ বেলা তিনটার দিকে সোহেলকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করেছে। হেলিকপ্টারে করে তাঁকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরও প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক আজ বেলা সোয়া তিনটার দিকে সাভারে ভবনধসের উদ্ধার তৎপরতার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাইকে রানাকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘যে মানুষরূপী পশুটি এখানে মরণফাঁদ তৈরি করেছিল, দেশ ছেড়ে পালানোর সময় তাকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ ঘোষণার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত উদ্ধারকর্মী ও জনতা ‘ফাঁসি ফাঁসি’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। 

খুলনায় নিষ্ফল অভিযান


রানাকে ধরতে আজ খুলনায় নিষ্ফল অভিযান চালায় র‌্যাব-পুলিশের একটি দল। বেলা সোয়া ১১টার দিকে খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, রানা খুলনায় পলাতক আছেন—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-পুলিশের একটি দল খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ৮ নম্বর সড়কে জনৈক মোস্তফা মল্লিকের ১৩৯-এ ও ১৩৯-বি নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায়। পৌনে এক ঘণ্টা ওই দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভবনধস


২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঢাকার অদূরে সাভারে নয় তলার রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে আজ বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ৩৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক লোক। ভবনধসের পরই রানা প্লাজার মালিক ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা পালিয়ে যান।

দুটি মামলা


ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে। দুটি মামলাই হয়েছে ভবনধসের পরে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করেছে ইমারত বিধিমালা আইনে আর অপরটি হয়েছে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে। সাভার থানার পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছে। এ ছাড়া রানার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। থানার পুলিশের কাছে তাঁর মামলার কোনো রেকর্ডও নেই।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে রানা প্লাজার অভ্যন্তরে যুবলীগের নেতা গাজী আবদুল্লাহ খুনের ঘটনায় আসামি ছিলেন রানা। তবে তদন্তের পর পুলিশ অভিযোগপত্র থেকে রানার নাম বাদ দেয়। ২০০৮ সালে ভিপি হেলাল গুম ও হত্যার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সাভারের মাদক ব্যবসায়ী মুন্না ছিল তাঁরই আশ্রয়ে। কিছুদিন আগে মুন্নার মৃতদেহ পাওয়া যায় সাভারের একটি জলাশয়ে। ধারণা করা হয়, তিনি গুপ্তহত্যার শিকার।
News24

তথ্য পেতে স্বজন আটক


রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারে তথ্য জোগাড়ের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রী মিতুসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার মানিকগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। তবে পুলিশ বলেছে, সোহেল রানার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর ও তাঁর স্ত্রী মুন্নি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। 
জাহাঙ্গীরের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত বুধবার ভবনধসের পর জাহাঙ্গীর স্ত্রী মুন্নিকে নিয়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে যান। গত বৃহস্পতিবার সাভার থানার পুলিশ সেখান থেকে তিন মাসের শিশুসহ মুন্নি ও তাঁর আত্মীয় আনোয়ারকে আটক করে। এর পর শুক্রবার জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়।

পারিবারিক ইতিহাস


দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সোহেল রানা দ্বিতীয়। স্থানীয় অধরচন্দ্র হাইস্কুলে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। তাঁর বাবা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মণ্ডপের আবদুল খালেক। তিনি এক সময় সাভারের মধ্যপড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ফেরি করে তেল বিক্রি করতেন। এখন তিনি সাভারের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের একজন। সোহেল রানা জমির ব্যবসার নামে নিরীহ মানুষের জমিও দখল করেন। সাভার বাসস্ট্যান্ডের ইজারা নিয়ে পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাও করেন রানা। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, রানা জমি দেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি দেননি।

পরিবারের সম্পদ

সাভার পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, রানা প্লাজার নির্মাণ শুরু হয় ২০০৭ সালে। এর আগে জায়গাটি ছিল পরিত্যক্ত। পেছনের দিকে ছিল জলাশয়। ভবন নির্মাণ করার আগে বালু ফেলে ভরাট করা হয়। রানা প্লাজার উদ্বোধন হয় ২০১০ সালে। অভিযোগ রয়েছে, ভবনের পেছনের অংশ দখল করেছিলেন রানা। সাভার পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, রানা প্লাজার পেছনের অংশ সরকারি খাল হিসেবেই দেখেছেন তিনি। যার নাম ছিল সাধাপুর খাল। সেটি দখল করে ভবন নির্মাণ করেন রানা।

মুরাদ জংয়ের সঙ্গে সখ্য

রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই—গণমাধ্যমে এ বক্তব্য দিয়েছেন সাভারের সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। কিন্তু সাভার আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মুরাদ জংয়ের পক্ষে হরতালবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ রানার নেতৃত্বেই হতো। রানা প্লাজা ধসে পড়ার দিনও মিছিলের প্রস্তুতি চলছিল।
এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদসহ সব ধরনের উৎসবে সোহেল রানা যেসব পোস্টার ছাপিয়ে টানিয়েছেন, তার সবগুলোতেই মুরাদ জংয়ের ছবি বড় করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোস্টার এখনো সাভারে রয়েছে। তবে রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর রানার সন্ত্রাসী বাহিনী অনেক পোস্টার তুলে ফেলেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, রানাকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক করেন মুরাদ জং। এখন ভবনধসের পর যখন সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের তীব্র দাবি উঠেছে, তখনো রানাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুরাদ জং।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশারাফ উদ্দিন খান বলেন, রানা কোনো রাজনীতিবিদ নন। ক্যাডার এবং সাংসদ মুরাদ জংয়ের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। সারাক্ষণ সাংসদের সঙ্গে থাকেন রানা। তিনি অভিযোগ করেন, মুরাদ জং টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের পদ বিক্রি করেন। রানার কাছেও পদ বিক্রি করেছেন।


source: prothom-alo
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comসাভারে ধসে পড়া ভবনের মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা হরতাল ও অন্যান্য কর্মসূচির নড়চড় হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তবে একই দিনে (২ মে) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দেশব্যাপী ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল স্থগিত করা হয়েছে।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের হরতাল বহাল
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, রানাকে গ্রেপ্তার বিএনপির মূল দাবি নয়। মূলত সাভারের ভবনধসের বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে হরতাল দেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির ডাকা হরতাল বহাল থাকবে।
সাভারে ভবনধসের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ও সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে আগামী ২ মে হরতালের ডাক দেয় ১৮ দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ১৮ দলের বৈঠক শেষে গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আজ রোববার বিকেলে বেনাপোল সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
রানাকে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ দলের কর্মসূচি থাকবে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘হরতাল হবে। শুধু রানাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এই হরতাল দেওয়া হয়নি। এটি কয়েকটি দাবির একটি।’ তিনি বলেন, ‘এত বড় ট্র্যাজেডির পর সরকারের অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতা, অনীহা, সার্বিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের হরতাল উদ্ধারকাজে বিলম্ব, সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে, শুধু রানাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নয়। এখন পর্যন্ত ঘোষিত হরতাল আছে।’ এর অন্যথা হওয়ার সুযোগও কম বলে তিনি মনে করেন। 
Bangladeshi News

সিপিবির হরতাল স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তাদের ডাকা আগামী ২ মের হরতাল কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে। সাভারে ভবনধসের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে সিপিবি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) যৌথভাবে এ হরতাল ডেকেছিল। একই দিন প্রায় একই দাবিতে পৃথকভাবে হরতাল ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। তবে বাম মোর্চা ও বাসদ হরতাল প্রত্যাহার করেনি। 
হরতাল স্থগিতের কারণ সম্পর্কে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল শনিবার সকালে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা সাভারে শ্রমিক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার, শাস্তির দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২ মে দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণা করেছিল। ওই দিন গভীর রাতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট একই তারিখে হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের ঘোষিত বড় কর্মসূচির দিন অন্য কারও কর্মসূচি ঘোষণা করা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, শিষ্টাচারসম্মত নয়। তারা বামপন্থীদের হরতালের কর্মসূচি ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছে। বামপন্থীদের আন্দোলনকে বানচাল করার জন্যই তারা এ কাজ করেছে। তাই সিপিবি হরতাল স্থগিত করে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে, তা হলো কাল সোমবার ও আগামী মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, পয়লা মে শ্রমিক দিবস পালন ও ৩ মে গণসমাবেশ।


source: prothom-alo

বিএনপির হরতাল বহাল, সিপিবির স্থগিত

http://bangladeshnewspapers24.blogspot.comসাভারে ধসে পড়া ভবনের মালিক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা হরতাল ও অন্যান্য কর্মসূচির নড়চড় হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তবে একই দিনে (২ মে) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দেশব্যাপী ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল স্থগিত করা হয়েছে।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের হরতাল বহাল
বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, রানাকে গ্রেপ্তার বিএনপির মূল দাবি নয়। মূলত সাভারের ভবনধসের বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে হরতাল দেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির ডাকা হরতাল বহাল থাকবে।
সাভারে ভবনধসের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ও সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে আগামী ২ মে হরতালের ডাক দেয় ১৮ দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ১৮ দলের বৈঠক শেষে গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আজ রোববার বিকেলে বেনাপোল সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
রানাকে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ দলের কর্মসূচি থাকবে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘হরতাল হবে। শুধু রানাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এই হরতাল দেওয়া হয়নি। এটি কয়েকটি দাবির একটি।’ তিনি বলেন, ‘এত বড় ট্র্যাজেডির পর সরকারের অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতা, অনীহা, সার্বিক ব্যর্থতার প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের হরতাল উদ্ধারকাজে বিলম্ব, সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে, শুধু রানাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নয়। এখন পর্যন্ত ঘোষিত হরতাল আছে।’ এর অন্যথা হওয়ার সুযোগও কম বলে তিনি মনে করেন। 
Bangladeshi News

সিপিবির হরতাল স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তাদের ডাকা আগামী ২ মের হরতাল কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে। সাভারে ভবনধসের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে সিপিবি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) যৌথভাবে এ হরতাল ডেকেছিল। একই দিন প্রায় একই দাবিতে পৃথকভাবে হরতাল ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। তবে বাম মোর্চা ও বাসদ হরতাল প্রত্যাহার করেনি। 
হরতাল স্থগিতের কারণ সম্পর্কে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল শনিবার সকালে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা সাভারে শ্রমিক হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার, শাস্তির দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২ মে দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণা করেছিল। ওই দিন গভীর রাতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট একই তারিখে হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের ঘোষিত বড় কর্মসূচির দিন অন্য কারও কর্মসূচি ঘোষণা করা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, শিষ্টাচারসম্মত নয়। তারা বামপন্থীদের হরতালের কর্মসূচি ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছে। বামপন্থীদের আন্দোলনকে বানচাল করার জন্যই তারা এ কাজ করেছে। তাই সিপিবি হরতাল স্থগিত করে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে, তা হলো কাল সোমবার ও আগামী মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, পয়লা মে শ্রমিক দিবস পালন ও ৩ মে গণসমাবেশ।


source: prothom-alo