বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম সরাসরি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার সামরিক সরকার নয়। তাদের ক্ষমতার উত্স অস্ত্র নয়, জনগণ। তারা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে গত নির্বাচনে সরকারে এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো কারও আলটিমেটাম গ্রহণ করে নাই। এবারও করবে না। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনার আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করছি। প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিন। আলোচনার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত।’ এ সময় হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত ও বিএনপি একই দল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৈয়দ আশরাফ দেশের সাম্প্রতিক অবস্থায় দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।
হেফাজতের কর্মসূচির বিষয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম হলো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। সারা দেশে আজ যারা তুলকালাম করেছে, তা কখনো বরদাশত করা হবে না। এবার তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হয়েছে। আর কখনো তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে আলবদর, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে সহিংসতা শুরু করেছে। তাদের সেই প্রেতাত্মা হয়ে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা শুরু করেছে। আমি হেফাজত ইসলামকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকা ত্যাগ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ আহ্বানকে দুর্বলতা ভাববেন না।’ News In Bangladesh
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার বিষয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে, যত্রতত্র গ্রেনেড ও গুলি করা হয়েছে। হেফাজতকে বলতে চাই, আপনাদের হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না। সংঘাতের দিকে এগোলে আওয়ামী লীগই আপনাদের শায়েস্তা করতে প্রস্তুত। আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ নারীদের উদ্দেশে সংযত কথা বলুন। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ দুর্বল নয়। দেশের শান্তি রক্ষায় সরকার যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’
হেফাজতের কর্মসূচির পরই বিএনপির আলটিমেটামের কোনো যোগসূত্র আছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, ‘এটা কাকতালীয়ভাবে হয়েছে। তবে পরে ডিজাইন করা হয়েছে।’
আলটিমেটামের পর বিএনপি যদি সহিংসতা বা তাদের ঢাকায় অবস্থান নেয়, তাহলে সরকার কী অবস্থা নেবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তারা যদি সহিংসতা করে কিংবা দেশজুড়ে সংঘাতকে উসকে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দেশ কি আবার ১/১১-এর দিকে ফিরে যাচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কখনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। হয়তো অন্য কোনো ব্যবস্থা আসতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থান প্রায় দুই মেরুতে। সুতরাং তাদের ভুলের কারণে যে সমস্যা হয়েছে, সেটা এ দেশে কখনো হবে না।’
বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের মধ্যে কোনো আদর্শগত মিল আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানের কার্যক্রমে বোঝা যাচ্ছে, জামায়াত-বিএনপি-হেফাজত একই দল। তাদের কর্মকাণ্ডও একই। আজকের সমাবেশে দেখবেন ওই তিন দলের লোকেরাই আছে।’
এ সময় একজন সাংবাদিক জানতে চান, গতকাল খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে গেলে জোব্বা পরেন, তসবি টেপেন আর ভারতে গেলে তিলক আঁকেন। তাঁর বেশভূষার ঠিক নেই। তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না।’ এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বক্তব্য চান ওই সাংবাদিক। জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আসলে খালেদা জিয়া যা বলেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, যা বিশ্বাস করেন তা তিনি বলেন না। উনি হেফাজতকে খুশি করতেই এই কথা বলেছেন। সস্তা কিছু ভোটের জন্য খালেদা জিয়া এগুলো বলছেন।’
বক্তব্যের শুরুতে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘মতিঝিলের সমাবেশে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি ১৯৯৬ সালে একদলীয় সরকারের নির্বাচন করেছিল। ওই সময় সহিংসতায় ৭০ জন মানুষ প্রাণ হারায়। এটা হলো বিএনপির চরিত্র। ২০০১ সালের নির্বাচন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এরপর তারা সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে অনেক নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়া সমালোচনা করলেও এসব কথা তিনি বলেননি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে যেভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন, সেটা কখনো আমরা বিশ্বাস করি না। তবে আমরা কোনো হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না।’
হেফাজতের ১৩ দফা দাবির ব্যাপারে অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৩ দফার প্রায় অনেকগুলো আমাদের সংবিধানে আছে। তারা নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। অথচ হাজারো নারী আজ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত। পার্লামেন্টে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে, সেনাবাহিনীতে সর্বক্ষেত্রে নারীর জয়যাত্রা। তারা এই জয়যাত্রা ব্যাহত করতে চায়। তবে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপে তা প্রতিহত করবে। এসব দাবি নিয়ে হেফাজত কখনো রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
source: prothom-alo
আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৈয়দ আশরাফ দেশের সাম্প্রতিক অবস্থায় দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।
হেফাজতের কর্মসূচির বিষয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম হলো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। সারা দেশে আজ যারা তুলকালাম করেছে, তা কখনো বরদাশত করা হবে না। এবার তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হয়েছে। আর কখনো তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে আলবদর, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে সহিংসতা শুরু করেছে। তাদের সেই প্রেতাত্মা হয়ে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা শুরু করেছে। আমি হেফাজত ইসলামকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকা ত্যাগ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ আহ্বানকে দুর্বলতা ভাববেন না।’ News In Bangladesh
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার বিষয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে, যত্রতত্র গ্রেনেড ও গুলি করা হয়েছে। হেফাজতকে বলতে চাই, আপনাদের হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না। সংঘাতের দিকে এগোলে আওয়ামী লীগই আপনাদের শায়েস্তা করতে প্রস্তুত। আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ নারীদের উদ্দেশে সংযত কথা বলুন। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ দুর্বল নয়। দেশের শান্তি রক্ষায় সরকার যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’
হেফাজতের কর্মসূচির পরই বিএনপির আলটিমেটামের কোনো যোগসূত্র আছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, ‘এটা কাকতালীয়ভাবে হয়েছে। তবে পরে ডিজাইন করা হয়েছে।’
আলটিমেটামের পর বিএনপি যদি সহিংসতা বা তাদের ঢাকায় অবস্থান নেয়, তাহলে সরকার কী অবস্থা নেবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তারা যদি সহিংসতা করে কিংবা দেশজুড়ে সংঘাতকে উসকে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দেশ কি আবার ১/১১-এর দিকে ফিরে যাচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কখনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। হয়তো অন্য কোনো ব্যবস্থা আসতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থান প্রায় দুই মেরুতে। সুতরাং তাদের ভুলের কারণে যে সমস্যা হয়েছে, সেটা এ দেশে কখনো হবে না।’
বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের মধ্যে কোনো আদর্শগত মিল আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানের কার্যক্রমে বোঝা যাচ্ছে, জামায়াত-বিএনপি-হেফাজত একই দল। তাদের কর্মকাণ্ডও একই। আজকের সমাবেশে দেখবেন ওই তিন দলের লোকেরাই আছে।’
এ সময় একজন সাংবাদিক জানতে চান, গতকাল খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে গেলে জোব্বা পরেন, তসবি টেপেন আর ভারতে গেলে তিলক আঁকেন। তাঁর বেশভূষার ঠিক নেই। তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না।’ এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বক্তব্য চান ওই সাংবাদিক। জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আসলে খালেদা জিয়া যা বলেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, যা বিশ্বাস করেন তা তিনি বলেন না। উনি হেফাজতকে খুশি করতেই এই কথা বলেছেন। সস্তা কিছু ভোটের জন্য খালেদা জিয়া এগুলো বলছেন।’
বক্তব্যের শুরুতে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘মতিঝিলের সমাবেশে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি ১৯৯৬ সালে একদলীয় সরকারের নির্বাচন করেছিল। ওই সময় সহিংসতায় ৭০ জন মানুষ প্রাণ হারায়। এটা হলো বিএনপির চরিত্র। ২০০১ সালের নির্বাচন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এরপর তারা সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে অনেক নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়া সমালোচনা করলেও এসব কথা তিনি বলেননি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে যেভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন, সেটা কখনো আমরা বিশ্বাস করি না। তবে আমরা কোনো হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না।’
হেফাজতের ১৩ দফা দাবির ব্যাপারে অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৩ দফার প্রায় অনেকগুলো আমাদের সংবিধানে আছে। তারা নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। অথচ হাজারো নারী আজ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত। পার্লামেন্টে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে, সেনাবাহিনীতে সর্বক্ষেত্রে নারীর জয়যাত্রা। তারা এই জয়যাত্রা ব্যাহত করতে চায়। তবে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপে তা প্রতিহত করবে। এসব দাবি নিয়ে হেফাজত কখনো রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
source: prothom-alo
0 comments:
Post a Comment