
সংঘর্ষে ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আহত লোকজনের মধ্যে ১০ জন সংবাদকর্মী ও পাঁচজন পুলিশ। আহত ২৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
News IN Bangaldesh
পল্টন
বেলা দুইটার দিকে পুরানা পল্টনে হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল চারটার দিকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, পল্টন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। হেফাজতের কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ছররা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, পল্টন মোড়ে প্রীতম হোটেলের সামনে ও ‘দৈনিক সকালের খবর’ পত্রিকার কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালানো হয়েছে। আগুনের একপাশে পুলিশ ও অন্যপাশে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে সচিবালয়ের সামনে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন হেফাজতের কর্মীরা। পরে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তোপখানা রোড ও বিজয়নগরে দুই দিক দিয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। সেখানে হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের এক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পল্টনে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল।
বায়তুল মোকাররম
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে অবস্থান নেওয়ার পর হেফাজতের কর্মীরা লাঠিসোঁটাসহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন মোড়ের দিকে রওনা হন। পুলিশ সেখানে তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে হেফাজতের কর্মীরা দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে চলে যান। পুলিশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকের পাশে অবস্থান নেয়।
বেলা একটার দিকে হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের সীমানার ভেতরে রাখা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন। ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ খোকন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে হেফাজত ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন হেফাজতের কর্মীরা। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এরপর দিলকুশা, জিরো পয়েন্ট, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম, গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার ও ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসব এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
source: prothom-alo
0 comments:
Post a Comment