Tuesday, 14 May 2013

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পরপরই কারাফটক থেকে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
News24
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মতিঝিল ও যাত্রাবাড়ী থানায় ভাঙচুরের দুটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে কারাগারে শামীম সাঈদীর জামিনের কাগজপত্র পৌঁছায়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে বিকেল পাঁচটা ১০ মিনিটে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময় কারাফটক থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
ওই সব মামলায় গ্রেপ্তারের পর শামীম সাঈদীকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। ২২ মার্চ তাঁকে রিমান্ডে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ২৩ মার্চ তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

source: prothom-alo

জামিনের পর আবার গ্রেপ্তার হলেন সাঈদীর ছেলে

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পরপরই কারাফটক থেকে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
News24
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মতিঝিল ও যাত্রাবাড়ী থানায় ভাঙচুরের দুটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর বিকেল চারটা ৪০ মিনিটে কারাগারে শামীম সাঈদীর জামিনের কাগজপত্র পৌঁছায়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে বিকেল পাঁচটা ১০ মিনিটে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এ সময় কারাফটক থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
ওই সব মামলায় গ্রেপ্তারের পর শামীম সাঈদীকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। ২২ মার্চ তাঁকে রিমান্ডে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ২৩ মার্চ তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

source: prothom-alo
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ১৮ মে। আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ আগামী ৬ জুন।
Education News
আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, নীতিমালাটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, আগের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি করা হবে। আবেদন গ্রহণের পর ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১৬ জুন। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তির শেষ তারিখ ৩০ জুন। আগামী ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।

source: prothom-alo

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন গ্রহণ ১৮ মে থেকে

২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ১৮ মে। আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ আগামী ৬ জুন।
Education News
আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, নীতিমালাটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, আগের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি করা হবে। আবেদন গ্রহণের পর ভর্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১৬ জুন। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তির শেষ তারিখ ৩০ জুন। আগামী ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।

source: prothom-alo
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তদসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উপকূলের দিকে আরও অগ্রসর হচ্ছে।
News In Bangladesh
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে এক হাজার ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। দুর্বল না হলে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল দিয়ে বয়ে যেতে পারে। তবে কাল কখন এটি আঘাত হানবে, এ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।
বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

source: prothom alo

উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তদসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উপকূলের দিকে আরও অগ্রসর হচ্ছে।
News In Bangladesh
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে এক হাজার ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। দুর্বল না হলে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল দিয়ে বয়ে যেতে পারে। তবে কাল কখন এটি আঘাত হানবে, এ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।
বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

source: prothom alo

Saturday, 11 May 2013

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসলগ্ন এলাকায় একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহাসেন’।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘মহাসেন’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
BD News24
ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থান করতে নিষেধ করা হয়েছে।

source:  prothom-alo

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসলগ্ন এলাকায় একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মহাসেন’।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘মহাসেন’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
BD News24
ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থান করতে নিষেধ করা হয়েছে।

source:  prothom-alo

Thursday, 9 May 2013

চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে আজ।
পরীক্ষার ফল সংগ্রহ করতে আজ সব শিক্ষার্থী গিয়েছিল স্কুলে। ফল পেয়ে আনন্দে বাড়িও ফিরেছে অনেকে, কিন্তু পারল না শুধু রাজন মিয়া।  News In Bangladesh
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার অলহরি গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি মাস্টারের ছেলে রাজন। ত্রিশালের পোড়াবাড়ী হাইস্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল সে। জিপিএ-৪.৫ পাওয়ার খবর রাজন মুঠোফোনে বাবা-মাকে জানিয়েছে। সে এ-ও জানায়, মিষ্টি নিয়ে বাড়ি আসছে।
পাসের খবরে খুশি হয়ে রাজন মিয়া মিষ্টি নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে অলহরি গ্রামেই একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। রাজন বাড়ি ফিরল, তবে নিথর দেহে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতেই তাকে দাফন করা হয়।
ছেলের পাসের আনন্দে বাড়ির সবাই ছিল উত্ফুল্ল। নিমিষেই সেই বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
রাজনের প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘রাজন ছিল মেধাবী ও অমায়িক। তার মৃত্যুতে আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি।’


Source: prothom-alo

পাস হলো, বাড়ি ফেরা হলো না রাজনের

চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে আজ।
পরীক্ষার ফল সংগ্রহ করতে আজ সব শিক্ষার্থী গিয়েছিল স্কুলে। ফল পেয়ে আনন্দে বাড়িও ফিরেছে অনেকে, কিন্তু পারল না শুধু রাজন মিয়া।  News In Bangladesh
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার অলহরি গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি মাস্টারের ছেলে রাজন। ত্রিশালের পোড়াবাড়ী হাইস্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল সে। জিপিএ-৪.৫ পাওয়ার খবর রাজন মুঠোফোনে বাবা-মাকে জানিয়েছে। সে এ-ও জানায়, মিষ্টি নিয়ে বাড়ি আসছে।
পাসের খবরে খুশি হয়ে রাজন মিয়া মিষ্টি নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে অলহরি গ্রামেই একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। রাজন বাড়ি ফিরল, তবে নিথর দেহে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতেই তাকে দাফন করা হয়।
ছেলের পাসের আনন্দে বাড়ির সবাই ছিল উত্ফুল্ল। নিমিষেই সেই বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
রাজনের প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘রাজন ছিল মেধাবী ও অমায়িক। তার মৃত্যুতে আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি।’


Source: prothom-alo
‘সপ্তম শ্রেণী থেকে মারজানুল ইসলাম সৌরভকে ব্যক্তিগতভাবে পড়িয়েছি। কখনো তাকে পড়তে বলা লাগেনি। কখনো শাসন করতে হয়নি। নিজে থেকেই সব পড়া পড়ত। কখনো তাকে বেতের আঘাত করতে হয়নি। আজ তার এসএসসি পরীক্ষার ফল পেয়েছি। আনন্দ লাগছে। কিন্তু দুঃখটাই বেশি। ফল পেয়েছি সত্যি, কিন্তু একটি মেধাবী ছাত্র হারালাম। এর চেয়ে দুঃখ কী হতে পারে!’
News24
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় শেখ মোরতাজা আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক এ কে এম আসাদুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, খুবই শান্তশিষ্ট ও বিনয়ী ছিল মারজান। গত রোববার স্থানীয় মাদানীনগর মাদ্রাসা থেকে মাইকের ঘোষণা শুনে অন্যদের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সে। এরপর সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় বলে তিনি জানতে পারেন। মারজানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিরুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মারজানুল ইসলাম সৌরভ খুবই ভালো ও শান্তশিষ্ট ছিল। এভাবে অকালে চলে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
সানারপাড় শেখ মোরতাজা আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল মারজানুল ইসলাম সৌরভ। ঢাকা বোর্ড থেকে পাসও করেছে সে। পেয়েছে জিপিএ-৪.৫৬। তার রোল নম্বর ১২০৩০১। কিন্তু এসএসসির ফল দেখে যেতে পারেনি সে। গত রোববার সকালে কাঁচপুর এলাকায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মারজান।
আজ সানারপাড় শেখ মোরতাজা আলী উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এসএসসি পরীক্ষার ফল দেখছেন অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। কিন্তু মারজানের ফল জানতে আসেনি কেউ। তার বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মারজানের অভিভাবকেরা সবাই তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রহ্মণবাড়িয়ায় গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পারিবারিক কবরস্থানে গতকাল মারজানকে দাফন করা হয়েছে। তাই তার অভিভাবকেরা কেউ স্কুলে আসেননি। তার এক বন্ধু কামরুল ইসলাম জানায়, খুবই ভালো ছেলে ছিল মারজান। ক্লাসের সবার প্রিয় ছিল সে। মারজানের মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুব খারাপ লেগেছে তার।
সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাগমারা এলাকায় মারজানুল ইসলাম সৌরভদের বাসা। তার বাবা এনামুল হক একজন সরকারি চাকরিজীবী। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট মারজান। আজ সকালে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আছেন কেবল তার মামা, মামি ও দাদি। বাকি সবাই গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গেছেন। তার মামা মো. মোস্তফা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দেওরা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে মারজানকে গতকাল দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা সবাই সেখানে রয়েছেন।’ মারজানের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছেলেটাকেই হারাইছি। এখন ফলাফল দিয়ে কী করব!’

source:  prothom-alo

মারজানের ফল জানতে আসেনি কেউ

‘সপ্তম শ্রেণী থেকে মারজানুল ইসলাম সৌরভকে ব্যক্তিগতভাবে পড়িয়েছি। কখনো তাকে পড়তে বলা লাগেনি। কখনো শাসন করতে হয়নি। নিজে থেকেই সব পড়া পড়ত। কখনো তাকে বেতের আঘাত করতে হয়নি। আজ তার এসএসসি পরীক্ষার ফল পেয়েছি। আনন্দ লাগছে। কিন্তু দুঃখটাই বেশি। ফল পেয়েছি সত্যি, কিন্তু একটি মেধাবী ছাত্র হারালাম। এর চেয়ে দুঃখ কী হতে পারে!’
News24
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় শেখ মোরতাজা আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক এ কে এম আসাদুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, খুবই শান্তশিষ্ট ও বিনয়ী ছিল মারজান। গত রোববার স্থানীয় মাদানীনগর মাদ্রাসা থেকে মাইকের ঘোষণা শুনে অন্যদের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সে। এরপর সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় বলে তিনি জানতে পারেন। মারজানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিরুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মারজানুল ইসলাম সৌরভ খুবই ভালো ও শান্তশিষ্ট ছিল। এভাবে অকালে চলে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
সানারপাড় শেখ মোরতাজা আলী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল মারজানুল ইসলাম সৌরভ। ঢাকা বোর্ড থেকে পাসও করেছে সে। পেয়েছে জিপিএ-৪.৫৬। তার রোল নম্বর ১২০৩০১। কিন্তু এসএসসির ফল দেখে যেতে পারেনি সে। গত রোববার সকালে কাঁচপুর এলাকায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মারজান।
আজ সানারপাড় শেখ মোরতাজা আলী উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এসএসসি পরীক্ষার ফল দেখছেন অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। কিন্তু মারজানের ফল জানতে আসেনি কেউ। তার বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মারজানের অভিভাবকেরা সবাই তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রহ্মণবাড়িয়ায় গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পারিবারিক কবরস্থানে গতকাল মারজানকে দাফন করা হয়েছে। তাই তার অভিভাবকেরা কেউ স্কুলে আসেননি। তার এক বন্ধু কামরুল ইসলাম জানায়, খুবই ভালো ছেলে ছিল মারজান। ক্লাসের সবার প্রিয় ছিল সে। মারজানের মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুব খারাপ লেগেছে তার।
সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাগমারা এলাকায় মারজানুল ইসলাম সৌরভদের বাসা। তার বাবা এনামুল হক একজন সরকারি চাকরিজীবী। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট মারজান। আজ সকালে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আছেন কেবল তার মামা, মামি ও দাদি। বাকি সবাই গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গেছেন। তার মামা মো. মোস্তফা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দেওরা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে মারজানকে গতকাল দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা সবাই সেখানে রয়েছেন।’ মারজানের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছেলেটাকেই হারাইছি। এখন ফলাফল দিয়ে কী করব!’

source:  prothom-alo
আগামী রোববার (১২ মে) সারা দেশে ডাকা হরতাল স্থগিত করেছে হেফাজতে ইসলাম। তবে একই দিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ খবর জানা গেছে।

News In Bangladesh

বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান জানান, এটি একটি ন্যায়ভ্রষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়। এই রায়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটেছে। ট্রাইব্যুনালের এই রায় জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষা ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার হরতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী হরতালের ডাক দেন।
হরতাল ঘোষণার সময় হেফাজতের পক্ষ থেকে তিনটি কর্মসূচির কথা বলা হয়। এগুলো হলো—১২ তারিখ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৮ ও ৯ মের হরতালে সমর্থন এবং আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পরে নিহত লোকজনের আত্মার শান্তি ও আহতদের রোগমুক্তির জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ১২ তারিখের হরতালের পর ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য পরবর্তী কর্মসূচি হাতে নেবে হেফাজতে ইসলাম। পরে আজ বিকেলে হঠাত্ করে রোববারের হরতাল স্থগিত করে হেফাজতে ইসলাম।

source: prothom-alo

হেফাজতের স্থগিত, রোববার জামায়াতের হরতালের ডাক

আগামী রোববার (১২ মে) সারা দেশে ডাকা হরতাল স্থগিত করেছে হেফাজতে ইসলাম। তবে একই দিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ খবর জানা গেছে।

News In Bangladesh

বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান জানান, এটি একটি ন্যায়ভ্রষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়। এই রায়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটেছে। ট্রাইব্যুনালের এই রায় জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার হাটহাজারী মাদ্রাসার ভেতরে শিক্ষা ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার হরতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী হরতালের ডাক দেন।
হরতাল ঘোষণার সময় হেফাজতের পক্ষ থেকে তিনটি কর্মসূচির কথা বলা হয়। এগুলো হলো—১২ তারিখ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৮ ও ৯ মের হরতালে সমর্থন এবং আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পরে নিহত লোকজনের আত্মার শান্তি ও আহতদের রোগমুক্তির জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ১২ তারিখের হরতালের পর ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য পরবর্তী কর্মসূচি হাতে নেবে হেফাজতে ইসলাম। পরে আজ বিকেলে হঠাত্ করে রোববারের হরতাল স্থগিত করে হেফাজতে ইসলাম।

source: prothom-alo

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. শাহিনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এটি চতুর্থ রায়। 

News In Bangladesh

পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুটি অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি বলে জানান ট্রাইব্যুনাল-২।কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের অভিযোগের মধ্যে ১, ২, ৩, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। 


রায় পড়া শুরু

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আজ বেলা ১১টা ২২ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম রায় পড়া শুরু করেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এজলাসে আসেন বিচারপতিরা। ১১টা ৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় কামারুজ্জামানকে তোলা হয়। 
এরপর ১১টা ১৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সূচনা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আজকের এ রায়টি ২১৫ পৃষ্ঠার। এতে ৬৫১টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এ রায়ের ৬২ পৃষ্ঠার সারাংশ পড়া হবে। ৬২ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত এ রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। দ্বিতীয় অংশটি পড়েন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া। রায়ের তৃতীয় অংশটি পড়েন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 
সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল হাসান ট্রাইব্যুনাল-২-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান এ টি এম ফজলে কবীরকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।


ট্রাইব্যুনালে কামারুজ্জামান

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কামারুজ্জামানকে শিশু একাডেমীসংলগ্ন ফটক দিয়ে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলার আগ পর্যন্ত তাঁকে হাজতখানায় রাখা হয়। 
রায় ঘোষণা উপলক্ষে কামারুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

ফিরে দেখা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ অক্টোবর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৪ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ গঠন করেন। ২ জুলাই এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন এবং আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন পাঁচজন। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে চলতি বছরের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩১ মার্চ। আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ২ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ এপ্রিল শেষ হয়। যুক্তি উপস্থাপন শেষে ১৬ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষাধীন রাখেন ট্রাইব্যুনাল।


সাত অভিযোগ

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ হলো, একাত্তরের ২৯ জুন তাঁর নেতৃত্বে আলবদররা শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার রামনগর গ্রামের বদিউজ্জামানকে অপহরণ ও নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে। 
দ্বিতীয় অভিযোগ অনুযায়ী, কামারুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীরা শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে প্রায় নগ্ন করে শহরের রাস্তায় হাঁটাতে হাঁটাতে চাবুকপেটা করেন।
তৃতীয় অভিযোগ, ২৫ জুলাই কামারুজ্জামানের পরামর্শে পরিকল্পিতভাবে আলবদর ও রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালায় ও নারীদের ধর্ষণ করে।
চতুর্থ অভিযোগ, কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে শেরপুরের গোলাম মোস্তফাকে হত্যা ও আবুল কাসেমকে আহত করে। 
পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, মুক্তিযুদ্ধকালে কামারুজ্জামান ও সহযোগীরা শেরপুরের লিয়াকত আলী ও মুজিবুর রহমান পানুকে অপহরণ ও নির্যাতন করে। 
ষষ্ঠ অভিযোগ, একাত্তরের নভেম্বরে কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদররা টুনু ও জাহাঙ্গীরকে আটকের পর নির্যাতন করে। টুনুকে হত্যা করা হয়। 
সপ্তম অভিযোগে বলা হয়েছে, কামারুজ্জামান ও আলবদরের সদস্যরা ছয়জনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।


রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা

এ রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবসংলগ্ন কদম ফোয়ারা সড়ক, শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়ক, দোয়েল চত্বরসংলগ্ন সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সব সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে সন্দেহ হলে তাঁর পরিচয়পত্র দেখছেন।
নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম শিবলী নোমান জানান, এর আগে তিনটি রায় হয়েছে। রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আদালত চত্বরের প্রতিটি পয়েন্টে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ট্রাইব্যুনালের প্রবেশমুখে গণমাধ্যমকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়।


আগের তিন রায়

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায়ে ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই ট্রাইব্যুনাল ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। কাদের মোল্লা ও সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন রয়েছে আপিল বিভাগে। ট্রাইব্যুনাল-১-এ অপেক্ষাধীন রয়েছে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার রায়। 

source: prothom-alo

কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ


একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. শাহিনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এটি চতুর্থ রায়। 

News In Bangladesh

পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দুটি অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি বলে জানান ট্রাইব্যুনাল-২।কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের অভিযোগের মধ্যে ১, ২, ৩, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। 


রায় পড়া শুরু

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আজ বেলা ১১টা ২২ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম রায় পড়া শুরু করেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এজলাসে আসেন বিচারপতিরা। ১১টা ৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় কামারুজ্জামানকে তোলা হয়। 
এরপর ১১টা ১৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সূচনা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আজকের এ রায়টি ২১৫ পৃষ্ঠার। এতে ৬৫১টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এ রায়ের ৬২ পৃষ্ঠার সারাংশ পড়া হবে। ৬২ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত এ রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। দ্বিতীয় অংশটি পড়েন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া। রায়ের তৃতীয় অংশটি পড়েন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 
সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল হাসান ট্রাইব্যুনাল-২-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান এ টি এম ফজলে কবীরকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।


ট্রাইব্যুনালে কামারুজ্জামান

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কামারুজ্জামানকে শিশু একাডেমীসংলগ্ন ফটক দিয়ে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলার আগ পর্যন্ত তাঁকে হাজতখানায় রাখা হয়। 
রায় ঘোষণা উপলক্ষে কামারুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

ফিরে দেখা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ অক্টোবর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৪ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ গঠন করেন। ২ জুলাই এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন এবং আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন পাঁচজন। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে চলতি বছরের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩১ মার্চ। আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ২ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ এপ্রিল শেষ হয়। যুক্তি উপস্থাপন শেষে ১৬ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষাধীন রাখেন ট্রাইব্যুনাল।


সাত অভিযোগ

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ হলো, একাত্তরের ২৯ জুন তাঁর নেতৃত্বে আলবদররা শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার রামনগর গ্রামের বদিউজ্জামানকে অপহরণ ও নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে। 
দ্বিতীয় অভিযোগ অনুযায়ী, কামারুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীরা শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে প্রায় নগ্ন করে শহরের রাস্তায় হাঁটাতে হাঁটাতে চাবুকপেটা করেন।
তৃতীয় অভিযোগ, ২৫ জুলাই কামারুজ্জামানের পরামর্শে পরিকল্পিতভাবে আলবদর ও রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালায় ও নারীদের ধর্ষণ করে।
চতুর্থ অভিযোগ, কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে শেরপুরের গোলাম মোস্তফাকে হত্যা ও আবুল কাসেমকে আহত করে। 
পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, মুক্তিযুদ্ধকালে কামারুজ্জামান ও সহযোগীরা শেরপুরের লিয়াকত আলী ও মুজিবুর রহমান পানুকে অপহরণ ও নির্যাতন করে। 
ষষ্ঠ অভিযোগ, একাত্তরের নভেম্বরে কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদররা টুনু ও জাহাঙ্গীরকে আটকের পর নির্যাতন করে। টুনুকে হত্যা করা হয়। 
সপ্তম অভিযোগে বলা হয়েছে, কামারুজ্জামান ও আলবদরের সদস্যরা ছয়জনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।


রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা

এ রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবসংলগ্ন কদম ফোয়ারা সড়ক, শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়ক, দোয়েল চত্বরসংলগ্ন সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সব সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে সন্দেহ হলে তাঁর পরিচয়পত্র দেখছেন।
নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম শিবলী নোমান জানান, এর আগে তিনটি রায় হয়েছে। রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আদালত চত্বরের প্রতিটি পয়েন্টে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ট্রাইব্যুনালের প্রবেশমুখে গণমাধ্যমকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়।


আগের তিন রায়

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায়ে ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই ট্রাইব্যুনাল ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। কাদের মোল্লা ও সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন রয়েছে আপিল বিভাগে। ট্রাইব্যুনাল-১-এ অপেক্ষাধীন রয়েছে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার রায়। 

source: prothom-alo

Wednesday, 8 May 2013

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ও হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) ও রোববারের (১২ মে) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, ৯ মে এর পরীক্ষা হবে ৩১ মে। ওই দিন সকালের পরীক্ষা হবে নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর বিকেলের পরীক্ষা হবে বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ১২ মে এর পরীক্ষা হবে আগামী ১ জুন। 
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম আজ বুধবার প্রথম আলো ডটকমে এ তথ্য জানান। 

এ নিয়ে হরতালের কারণে চলতি বছর ছয় দিনের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছে।

source: prothom-alo

হরতালে এইচএসসি পরীক্ষা পেছাল

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ও হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) ও রোববারের (১২ মে) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, ৯ মে এর পরীক্ষা হবে ৩১ মে। ওই দিন সকালের পরীক্ষা হবে নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর বিকেলের পরীক্ষা হবে বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ১২ মে এর পরীক্ষা হবে আগামী ১ জুন। 
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম আজ বুধবার প্রথম আলো ডটকমে এ তথ্য জানান। 

এ নিয়ে হরতালের কারণে চলতি বছর ছয় দিনের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছে।

source: prothom-alo
http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com/
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার রাজধানীর গোপীবাগ দ্বিতীয় লেনের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আজ রাত ১১ টার দিকে মহানগর পুলিশ তাঁর বাসায় এ অভিযান শুরু করে। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, তারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছেন। News24
সাদেক হোসেন খোকার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাও তল্লাশির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


source: prothom-alo

খোকার বাসায় তল্লাশি চলছে

http://bangladeshnewspapers24.blogspot.com/
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার রাজধানীর গোপীবাগ দ্বিতীয় লেনের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আজ রাত ১১ টার দিকে মহানগর পুলিশ তাঁর বাসায় এ অভিযান শুরু করে। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, তারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছেন। News24
সাদেক হোসেন খোকার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তাও তল্লাশির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


source: prothom-alo

Tuesday, 7 May 2013

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা দেবাশিষ বাদী হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর
হাকিম আদালতে সাম্প্রদায়িক উসকানি ও মানহানির অভিযোগে এম কে আনোয়ারে বিরুদ্ধে মামলা করেন। মহানগর হাকিম হাসিবুল হক মামলাটি গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, গত রোববার হেফাজতের সহিংসতার সময় শাপলা চত্বর ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং আশপাশের এলাকায় ভাঙচুর, ধর্মীয় গ্রন্থে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য দেবাশীষ নামের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে দায়ী করে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এম কে আনোয়ার।
আরজিতে আরও বলা হয়, এম কে আনোয়ার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে এবং কথাবার্তার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেন। বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। তাই আদালতে মামলা করে এম কে আনোয়ারের বিচার দাবি করেন।

source: prothom-alo

এম কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা দেবাশিষ বাদী হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর
হাকিম আদালতে সাম্প্রদায়িক উসকানি ও মানহানির অভিযোগে এম কে আনোয়ারে বিরুদ্ধে মামলা করেন। মহানগর হাকিম হাসিবুল হক মামলাটি গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, গত রোববার হেফাজতের সহিংসতার সময় শাপলা চত্বর ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং আশপাশের এলাকায় ভাঙচুর, ধর্মীয় গ্রন্থে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জন্য দেবাশীষ নামের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে দায়ী করে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এম কে আনোয়ার।
আরজিতে আরও বলা হয়, এম কে আনোয়ার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে এবং কথাবার্তার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেন। বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। তাই আদালতে মামলা করে এম কে আনোয়ারের বিচার দাবি করেন।

source: prothom-alo

Sunday, 5 May 2013

রাজধানীর পল্টন, সচিবালয়, বিজয়নগর, তোপখানা রোড, বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটক ও এর আশপাশের এলাকায় এখনো চলছে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব। আজ রোববার দুপুর দুইটা থেকে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের পাশাপাশি চলে হেফাজতের তাণ্ডব। সন্ধ্যা সাতটার দিকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পল্টনের ফুটপাতের শতাধিক দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। কেএফসির একটি দোকানেও আগুন দেন তাঁরা। পল্টনের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে রাখেন হেফাজতের কর্মীরা। আগুনের একপাশে হেফাজত ও আরেক পাশে পুলিশ অবস্থান নেয়। আমাদের প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে জানান, রাস্তার ডিভাইডারের কাঁটাতার ও খুঁটি খুলে নিয়ে আগুন জ্বালিয়েছেন হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন তাঁরা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ছোড়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ। পল্টনের পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন।
সংঘর্ষে ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আহত লোকজনের মধ্যে ১০ জন সংবাদকর্মী ও পাঁচজন পুলিশ। আহত ২৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
News IN Bangaldesh
পল্টন
বেলা দুইটার দিকে পুরানা পল্টনে হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল চারটার দিকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, পল্টন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। হেফাজতের কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ছররা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। 
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, পল্টন মোড়ে প্রীতম হোটেলের সামনে ও ‘দৈনিক সকালের খবর’ পত্রিকার কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালানো হয়েছে। আগুনের একপাশে পুলিশ ও অন্যপাশে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। 
বিকেল পাঁচটার দিকে সচিবালয়ের সামনে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন হেফাজতের কর্মীরা। পরে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তোপখানা রোড ও বিজয়নগরে দুই দিক দিয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। সেখানে হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের এক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পল্টনে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল। 

বায়তুল মোকাররম
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে অবস্থান নেওয়ার পর হেফাজতের কর্মীরা লাঠিসোঁটাসহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন মোড়ের দিকে রওনা হন। পুলিশ সেখানে তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে হেফাজতের কর্মীরা দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে চলে যান। পুলিশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকের পাশে অবস্থান নেয়।
বেলা একটার দিকে হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের সীমানার ভেতরে রাখা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন। ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ খোকন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে হেফাজত ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন হেফাজতের কর্মীরা। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এরপর দিলকুশা, জিরো পয়েন্ট, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম, গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার ও ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসব এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

source: prothom-alo

হেফাজতের তাণ্ডবে জ্বলছে পল্টন

রাজধানীর পল্টন, সচিবালয়, বিজয়নগর, তোপখানা রোড, বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটক ও এর আশপাশের এলাকায় এখনো চলছে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব। আজ রোববার দুপুর দুইটা থেকে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের পাশাপাশি চলে হেফাজতের তাণ্ডব। সন্ধ্যা সাতটার দিকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পল্টনের ফুটপাতের শতাধিক দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। কেএফসির একটি দোকানেও আগুন দেন তাঁরা। পল্টনের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে রাখেন হেফাজতের কর্মীরা। আগুনের একপাশে হেফাজত ও আরেক পাশে পুলিশ অবস্থান নেয়। আমাদের প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে জানান, রাস্তার ডিভাইডারের কাঁটাতার ও খুঁটি খুলে নিয়ে আগুন জ্বালিয়েছেন হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন তাঁরা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ছোড়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ। পল্টনের পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন।
সংঘর্ষে ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আহত লোকজনের মধ্যে ১০ জন সংবাদকর্মী ও পাঁচজন পুলিশ। আহত ২৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
News IN Bangaldesh
পল্টন
বেলা দুইটার দিকে পুরানা পল্টনে হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল চারটার দিকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, পল্টন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। হেফাজতের কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, ছররা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। 
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, পল্টন মোড়ে প্রীতম হোটেলের সামনে ও ‘দৈনিক সকালের খবর’ পত্রিকার কার্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালানো হয়েছে। আগুনের একপাশে পুলিশ ও অন্যপাশে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। 
বিকেল পাঁচটার দিকে সচিবালয়ের সামনে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন হেফাজতের কর্মীরা। পরে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তোপখানা রোড ও বিজয়নগরে দুই দিক দিয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। সেখানে হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের এক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পল্টনে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল। 

বায়তুল মোকাররম
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে অবস্থান নেওয়ার পর হেফাজতের কর্মীরা লাঠিসোঁটাসহ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন মোড়ের দিকে রওনা হন। পুলিশ সেখানে তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে হেফাজতের কর্মীরা দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে চলে যান। পুলিশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকের পাশে অবস্থান নেয়।
বেলা একটার দিকে হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের সীমানার ভেতরে রাখা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন। ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ খোকন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।

আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে হেফাজত ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন হেফাজতের কর্মীরা। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এরপর দিলকুশা, জিরো পয়েন্ট, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম, গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার ও ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসব এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

source: prothom-alo
ঢাকায় আজ রোববার হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক পরিবহনশ্রমিক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার পরিবহন শ্রমিকেরা আগামীকাল সোমবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু ঢাকা মহানগরে ধর্মঘট পালন করবেন।  Bangladeshi News Online 24
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আগামীকাল দুপুর ১২টায় ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় নিহত শ্রমিক সিদ্দিকুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শ্রমিকেরা একটি লাঠি মিছিল বের করবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সিদ্দিকুর রহমান হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী ছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান। 
হানিফ পরিবহনের সংশ্লিষ্ট বাসের চালক জুয়েল দাবি করেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে তাঁদের গাড়িটি চলাচল করে। তিন দিন আগে গাড়িটি রিকুইজিশন করে পুলিশ। আজ বেলা দেড়টার দিকে তিনি ও তাঁর সহকারী সিদ্দিকুর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। হঠাত্ করে সিদ্দিকুরের মুখমণ্ডলে ও শরীরে গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।

source: prothom-alo

আগামীকাল ঢাকায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট

ঢাকায় আজ রোববার হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক পরিবহনশ্রমিক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার পরিবহন শ্রমিকেরা আগামীকাল সোমবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু ঢাকা মহানগরে ধর্মঘট পালন করবেন।  Bangladeshi News Online 24
ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আগামীকাল দুপুর ১২টায় ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় নিহত শ্রমিক সিদ্দিকুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শ্রমিকেরা একটি লাঠি মিছিল বের করবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সিদ্দিকুর রহমান হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী ছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান। 
হানিফ পরিবহনের সংশ্লিষ্ট বাসের চালক জুয়েল দাবি করেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে তাঁদের গাড়িটি চলাচল করে। তিন দিন আগে গাড়িটি রিকুইজিশন করে পুলিশ। আজ বেলা দেড়টার দিকে তিনি ও তাঁর সহকারী সিদ্দিকুর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। হঠাত্ করে সিদ্দিকুরের মুখমণ্ডলে ও শরীরে গুলি লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।

source: prothom-alo
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে রাত ২ টার দিকে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর তারা পিছু হটেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমাদের প্রতিবেদক জানান, কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপের পর র‌্যাবের সদস্যরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়েছে। আর পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা দৈনিক বাংলা মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। BD News24
এর আগে রাত ১ টার দিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে চারদিক থেকে এগোতে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 
পল্টন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদক রাত পৌনে ২ টার দিকে জানান, র‌্যাবের সদস্যরা আস্তে আস্তে শাপলা চত্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এরপরেই আছেন বিজিবির সদস্যরা। তবে বিদ্যুত্ না থাকায় পুরো এলাকা অন্ধকার। তবে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা শাপলা চত্বরে সমাবেশস্থল থেকে স্লোগান ও বক্তব্য দিচ্ছেন। 
আজ সকাল থেকে হেফাজতের সদস্যরা ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। পরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দিতে এসে ব্যাপক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে তারা। হেফাজতের এই তাণ্ডব ছড়িয়ে পরে পল্টন, সচিবালয়, বিজয় নগর, বায়তুল মোকাররম, নয়াপল্টনসহ পুরো এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। 
হেফাজতের কর্মীদের সন্ধ্যার পর মতিঝিল ত্যাগ করার কথা থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শাহ শফীর ওই সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েও আবার লালবাগে ফিরে যান তিনি।
এদিকে হেফাজতের কর্মসূচি শেষ হতে না হতেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপি রাজধানীবাসীকে হেফাজতের পাশে থাকার আহ্বান জানায়। আগামীকাল থেকে তারাও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে চায়। এ অবস্থায় হেফাজতকে রাজপথ থেকে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযান বলে জানা গেছে।

source: prothom-alo

হেফাজতের সমাবেশস্থলে টিয়ার সেল নিক্ষেপ

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে রাত ২ টার দিকে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর তারা পিছু হটেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমাদের প্রতিবেদক জানান, কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপের পর র‌্যাবের সদস্যরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়েছে। আর পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা দৈনিক বাংলা মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। BD News24
এর আগে রাত ১ টার দিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে সরিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে চারদিক থেকে এগোতে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 
পল্টন এলাকা থেকে আমাদের প্রতিবেদক রাত পৌনে ২ টার দিকে জানান, র‌্যাবের সদস্যরা আস্তে আস্তে শাপলা চত্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এরপরেই আছেন বিজিবির সদস্যরা। তবে বিদ্যুত্ না থাকায় পুরো এলাকা অন্ধকার। তবে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা শাপলা চত্বরে সমাবেশস্থল থেকে স্লোগান ও বক্তব্য দিচ্ছেন। 
আজ সকাল থেকে হেফাজতের সদস্যরা ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। পরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দিতে এসে ব্যাপক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে তারা। হেফাজতের এই তাণ্ডব ছড়িয়ে পরে পল্টন, সচিবালয়, বিজয় নগর, বায়তুল মোকাররম, নয়াপল্টনসহ পুরো এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। 
হেফাজতের কর্মীদের সন্ধ্যার পর মতিঝিল ত্যাগ করার কথা থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শাহ শফীর ওই সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েও আবার লালবাগে ফিরে যান তিনি।
এদিকে হেফাজতের কর্মসূচি শেষ হতে না হতেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপি রাজধানীবাসীকে হেফাজতের পাশে থাকার আহ্বান জানায়। আগামীকাল থেকে তারাও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে চায়। এ অবস্থায় হেফাজতকে রাজপথ থেকে সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযান বলে জানা গেছে।

source: prothom-alo
রাজধানীর নয়াপল্টনে কাল সোমবার সমাবেশ করবে বিএনপি। বিকেল তিনটার দিকে এ সমাবেশ হবে।
আজ রোববার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এ সমাবেশ করা সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, কাল বিকেল ৩ টায় এ সমাবেশ শুরু হবে। তবে সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে অবস্থান নেবেন। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি খালেদা জিয়ার বেধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সময়সীমা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শেষ হবে। এরপরই ওই সমাবেশ থেকে এ ব্যাপারে ১৮ দলীয় জোটের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। 
Bangladeshi News Online 24
দেশবাসীকে রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান
সরকারের নৈরাজ্য বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
আজ রাতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
এম কে আনোয়ার জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ওপর সরকার দলীয় কর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় নিন্দা এবং এর বিচার দাবি করেছে বিএনপি। এছাড়াও আজকে যে সব জায়গায় হামলা হয়েছে সেখানে বিএনপি, জামায়াতের কেউ জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
এম কে আনোয়ার বলেন, খালেদা জিয়া নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের ব্যাপারে সরকার দলীয় নেতাদের প্রত্যাখ্যানের বক্তব্যে সরকারের মনোভাব প্রকাশ করে দিয়েছে। 
এদিকে খালেদা জিয়া বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার পরের কর্মসূচি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ, রেল, নৌ ও স্থলপথ অবরোধ, একটানা কয়েকদিন হরতাল। তবে ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

source: prothom-alo

কাল বিএনপির সমাবেশ

রাজধানীর নয়াপল্টনে কাল সোমবার সমাবেশ করবে বিএনপি। বিকেল তিনটার দিকে এ সমাবেশ হবে।
আজ রোববার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এ সমাবেশ করা সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, কাল বিকেল ৩ টায় এ সমাবেশ শুরু হবে। তবে সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে অবস্থান নেবেন। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি খালেদা জিয়ার বেধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সময়সীমা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শেষ হবে। এরপরই ওই সমাবেশ থেকে এ ব্যাপারে ১৮ দলীয় জোটের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। 
Bangladeshi News Online 24
দেশবাসীকে রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান
সরকারের নৈরাজ্য বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রাজপথে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
আজ রাতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
এম কে আনোয়ার জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ওপর সরকার দলীয় কর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় নিন্দা এবং এর বিচার দাবি করেছে বিএনপি। এছাড়াও আজকে যে সব জায়গায় হামলা হয়েছে সেখানে বিএনপি, জামায়াতের কেউ জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
এম কে আনোয়ার বলেন, খালেদা জিয়া নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের ব্যাপারে সরকার দলীয় নেতাদের প্রত্যাখ্যানের বক্তব্যে সরকারের মনোভাব প্রকাশ করে দিয়েছে। 
এদিকে খালেদা জিয়া বেঁধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার পরের কর্মসূচি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ, রেল, নৌ ও স্থলপথ অবরোধ, একটানা কয়েকদিন হরতাল। তবে ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

source: prothom-alo
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। News In Bangladesh
আজ রোববার রাতে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তাঁর উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তবে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে রাতে শামসুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি নয়, রাজধানীবাসীকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার সকাল থেকে হেফাজতের কর্মীরা ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দুপুর থেকে তাঁরা রাজধানীর মতিঝিলে সমাবেশ করছেন। 
এ ছাড়াও দুপুরের পর থেকে পল্টনের আশপাশের এলাকায় হেফাজতের কর্মীরা তাণ্ডব চালান। তাঁরা পুরানা পল্টনের হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ভবন, জিপিও, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের দোতলায় আগুন দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি আগুন নেভাতে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের কর্মীরা তাতে বাধার সৃষ্টি করেন। 
এর পরই খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের এ নির্দেশ দিলেন।

source: prothom-alo

রাজধানীবাসীকে হেফাজতের পাশে দাঁড়াতে খালেদার আহ্বান

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। News In Bangladesh
আজ রোববার রাতে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তাঁর উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তবে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে রাতে শামসুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি নয়, রাজধানীবাসীকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার সকাল থেকে হেফাজতের কর্মীরা ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দুপুর থেকে তাঁরা রাজধানীর মতিঝিলে সমাবেশ করছেন। 
এ ছাড়াও দুপুরের পর থেকে পল্টনের আশপাশের এলাকায় হেফাজতের কর্মীরা তাণ্ডব চালান। তাঁরা পুরানা পল্টনের হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ভবন, জিপিও, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের দোতলায় আগুন দিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি আগুন নেভাতে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের কর্মীরা তাতে বাধার সৃষ্টি করেন। 
এর পরই খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের এ নির্দেশ দিলেন।

source: prothom-alo

আসামির পক্ষ নিয়েছে পুলিশ!

খিলগাঁওয়ের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ      News24

স্কুলে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে খুনের আসামি ও রাজধানীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুশিয়া বেগম ওরফে মাফিয়ার ছেলে মো. হিরণ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার ১৩ দিন পরও একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এখন আসামির পরিবার ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আপস করার জন্য মেয়েটির পরিবারকে চাপ দিচ্ছে। 
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ী রুশিয়ার সঙ্গে খিলগাঁও থানার পুলিশের পুরোনো সখ্য আছে। এ কারণে পুলিশ আসামিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখের সঙ্গে কথা বলেও তার প্রমাণ মিলেছে। গত ৩০ এপ্রিল এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে ওসি উল্টো আসামির পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘আমি ধারণা করছি, মেয়েটির সাথে ছেলেটার একটা বোঝাপড়া ছিল। না হলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করল না কেন?’ 
তবে মামলা নেওয়ার পর আসামিকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেন, ‘একজন সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছে তো।’ ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বপন কুমার দে সেখানে আসেন। ওসির সামনেই তিনি প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের বলেন, রুশিয়া নামের রাজধানীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর ছেলে হিরণ মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। হিরণ নিজে হত্যা মামলাসহ বেশ কটি মামলার আসামি। মেয়েটি বাঁচার চেষ্টা করেছিল, শেষ পর্যন্ত পারেনি। 
এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তার কথা শুনে ওসি বলেন, ‘এখনই যাও। আসামি গ্রেপ্তার কর।’ তবে গতকাল পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা নিয়ে খিলগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সকাল সাতটার দিকে মেয়েটি স্কুলের উদ্দেশে বের হয়। তিলপাপাড়া ক্লাবের সামনে এলে মো. হিরণ একটি মোটরসাইকেলে করে এসে মেয়েটিকে ধাক্কা দেয়। তারপর জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয়। আনুমানিক সকাল সোয়া নয়টার দিকে সবুজবাগ থানার বাসাবো খেলার মাঠের উল্টো দিকে ১০ মোড় নামের একটি বাড়ির সামনে নামানোর পর মেয়েটি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। হিরণ তাকে জোর করে একটি বাড়ির ভেতর ঢোকায় ও এলোপাতাড়ি মারধর করে। এরপর ওই বাড়ির লোকজনকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে লোকজন উদ্ধার করে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। তার হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। ওসিসির চিকিৎসক বিলকিস বেগম প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার। 
এদিকে মেয়েটির এক স্বজন প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের পর হিরণের পরিবার থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। হিরণের মামা মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। 
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা সাত-আট বছর আগে মারা গেছেন। তিন-চারটি ফ্ল্যাটে ঠিকে ঝিয়ের কাজ করেন মেয়েটির মা। মেয়েটি ভালো ছাত্রী। ২৫০ জন ছাত্রীর ক্লাসে প্রথম পাঁচজনের মধ্যে তার অবস্থান। পরিবারটি সীমাহীন দারিদ্র্যে নিমজ্জিত। খিলগাঁওয়ের একটি ভাড়া ঘরে তারা থাকে। টিনের বাড়িটির বাইরের দিকে ছালা টাঙানো। কোনো দিন খাওয়া জোটে, কোনো দিন জোটে না। এলাকাবাসীর ধারণা, মেয়েটি দুর্বল জানতে পেরেই ইচ্ছে করে হিরণ তাকে ধর্ষণ করেছে। 
খিলগাঁও, বাসাবো ও সবুজবাগ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হিরণ ২০১০ সালে শিল্প ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক খাজা মো. মাহফুজুল হক খান (৭৩) হত্যাকাণ্ডের আসামি। ঈদের দিন বাড়ির সামনে মাদক ব্যবসা ও উচ্ছৃঙ্খলতার প্রতিবাদ করায় সাঙ্গপাঙ্গসহ হিরণ তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। হিরণের মা রুশিয়া বেগম এলাকায় চোর হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন তাঁর পরিচিতি ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে। ধর্ষণের বিষয়টিতে এলাকাবাসী ভীষণ ক্ষুব্ধ। তবে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। 
সবুজবাগ থানার সাবেক উপপরিদর্শক এজাজ শফি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কমপক্ষে ২০ বার রুশিয়াকে গ্রেপ্তার করেছেন। একবার ৪০ ভরি সোনাসহ তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর ছেলে হিরণ শিল্প ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় আটক হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। সব কটিতেই সে জামিনে মুক্ত। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুশিয়া প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, থানা-পুলিশ সব তার পকেটে। কেউ কিছু করতে পারবে না।

source: prothom-alo

খিলগাঁওয়ের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ


আসামির পক্ষ নিয়েছে পুলিশ!

খিলগাঁওয়ের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ      News24

স্কুলে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে খুনের আসামি ও রাজধানীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুশিয়া বেগম ওরফে মাফিয়ার ছেলে মো. হিরণ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার ১৩ দিন পরও একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এখন আসামির পরিবার ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আপস করার জন্য মেয়েটির পরিবারকে চাপ দিচ্ছে। 
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ী রুশিয়ার সঙ্গে খিলগাঁও থানার পুলিশের পুরোনো সখ্য আছে। এ কারণে পুলিশ আসামিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখের সঙ্গে কথা বলেও তার প্রমাণ মিলেছে। গত ৩০ এপ্রিল এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে ওসি উল্টো আসামির পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘আমি ধারণা করছি, মেয়েটির সাথে ছেলেটার একটা বোঝাপড়া ছিল। না হলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করল না কেন?’ 
তবে মামলা নেওয়ার পর আসামিকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেন, ‘একজন সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছে তো।’ ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বপন কুমার দে সেখানে আসেন। ওসির সামনেই তিনি প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের বলেন, রুশিয়া নামের রাজধানীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর ছেলে হিরণ মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। হিরণ নিজে হত্যা মামলাসহ বেশ কটি মামলার আসামি। মেয়েটি বাঁচার চেষ্টা করেছিল, শেষ পর্যন্ত পারেনি। 
এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তার কথা শুনে ওসি বলেন, ‘এখনই যাও। আসামি গ্রেপ্তার কর।’ তবে গতকাল পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা নিয়ে খিলগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সকাল সাতটার দিকে মেয়েটি স্কুলের উদ্দেশে বের হয়। তিলপাপাড়া ক্লাবের সামনে এলে মো. হিরণ একটি মোটরসাইকেলে করে এসে মেয়েটিকে ধাক্কা দেয়। তারপর জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয়। আনুমানিক সকাল সোয়া নয়টার দিকে সবুজবাগ থানার বাসাবো খেলার মাঠের উল্টো দিকে ১০ মোড় নামের একটি বাড়ির সামনে নামানোর পর মেয়েটি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। হিরণ তাকে জোর করে একটি বাড়ির ভেতর ঢোকায় ও এলোপাতাড়ি মারধর করে। এরপর ওই বাড়ির লোকজনকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে লোকজন উদ্ধার করে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। তার হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। ওসিসির চিকিৎসক বিলকিস বেগম প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার। 
এদিকে মেয়েটির এক স্বজন প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের পর হিরণের পরিবার থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। হিরণের মামা মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। 
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা সাত-আট বছর আগে মারা গেছেন। তিন-চারটি ফ্ল্যাটে ঠিকে ঝিয়ের কাজ করেন মেয়েটির মা। মেয়েটি ভালো ছাত্রী। ২৫০ জন ছাত্রীর ক্লাসে প্রথম পাঁচজনের মধ্যে তার অবস্থান। পরিবারটি সীমাহীন দারিদ্র্যে নিমজ্জিত। খিলগাঁওয়ের একটি ভাড়া ঘরে তারা থাকে। টিনের বাড়িটির বাইরের দিকে ছালা টাঙানো। কোনো দিন খাওয়া জোটে, কোনো দিন জোটে না। এলাকাবাসীর ধারণা, মেয়েটি দুর্বল জানতে পেরেই ইচ্ছে করে হিরণ তাকে ধর্ষণ করেছে। 
খিলগাঁও, বাসাবো ও সবুজবাগ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হিরণ ২০১০ সালে শিল্প ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক খাজা মো. মাহফুজুল হক খান (৭৩) হত্যাকাণ্ডের আসামি। ঈদের দিন বাড়ির সামনে মাদক ব্যবসা ও উচ্ছৃঙ্খলতার প্রতিবাদ করায় সাঙ্গপাঙ্গসহ হিরণ তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। হিরণের মা রুশিয়া বেগম এলাকায় চোর হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন তাঁর পরিচিতি ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে। ধর্ষণের বিষয়টিতে এলাকাবাসী ভীষণ ক্ষুব্ধ। তবে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। 
সবুজবাগ থানার সাবেক উপপরিদর্শক এজাজ শফি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কমপক্ষে ২০ বার রুশিয়াকে গ্রেপ্তার করেছেন। একবার ৪০ ভরি সোনাসহ তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর ছেলে হিরণ শিল্প ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় আটক হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। সব কটিতেই সে জামিনে মুক্ত। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রুশিয়া প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, থানা-পুলিশ সব তার পকেটে। কেউ কিছু করতে পারবে না।

source: prothom-alo
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম সরাসরি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার সামরিক সরকার নয়। তাদের ক্ষমতার উত্স অস্ত্র নয়, জনগণ। তারা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে গত নির্বাচনে সরকারে এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো কারও আলটিমেটাম গ্রহণ করে নাই। এবারও করবে না। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনার আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করছি। প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিন। আলোচনার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত।’ এ সময় হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত ও বিএনপি একই দল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৈয়দ আশরাফ দেশের সাম্প্রতিক অবস্থায় দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।
হেফাজতের কর্মসূচির বিষয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম হলো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। সারা দেশে আজ যারা তুলকালাম করেছে, তা কখনো বরদাশত করা হবে না। এবার তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হয়েছে। আর কখনো তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে আলবদর, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে সহিংসতা শুরু করেছে। তাদের সেই প্রেতাত্মা হয়ে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা শুরু করেছে। আমি হেফাজত ইসলামকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকা ত্যাগ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ আহ্বানকে দুর্বলতা ভাববেন না।’ News In Bangladesh
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার বিষয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে, যত্রতত্র গ্রেনেড ও গুলি করা হয়েছে। হেফাজতকে বলতে চাই, আপনাদের হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না। সংঘাতের দিকে এগোলে আওয়ামী লীগই আপনাদের শায়েস্তা করতে প্রস্তুত। আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ নারীদের উদ্দেশে সংযত কথা বলুন। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ দুর্বল নয়। দেশের শান্তি রক্ষায় সরকার যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’ 
হেফাজতের কর্মসূচির পরই বিএনপির আলটিমেটামের কোনো যোগসূত্র আছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, ‘এটা কাকতালীয়ভাবে হয়েছে। তবে পরে ডিজাইন করা হয়েছে।’
আলটিমেটামের পর বিএনপি যদি সহিংসতা বা তাদের ঢাকায় অবস্থান নেয়, তাহলে সরকার কী অবস্থা নেবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তারা যদি সহিংসতা করে কিংবা দেশজুড়ে সংঘাতকে উসকে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দেশ কি আবার ১/১১-এর দিকে ফিরে যাচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কখনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। হয়তো অন্য কোনো ব্যবস্থা আসতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থান প্রায় দুই মেরুতে। সুতরাং তাদের ভুলের কারণে যে সমস্যা হয়েছে, সেটা এ দেশে কখনো হবে না।’ 
বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের মধ্যে কোনো আদর্শগত মিল আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানের কার্যক্রমে বোঝা যাচ্ছে, জামায়াত-বিএনপি-হেফাজত একই দল। তাদের কর্মকাণ্ডও একই। আজকের সমাবেশে দেখবেন ওই তিন দলের লোকেরাই আছে।’
এ সময় একজন সাংবাদিক জানতে চান, গতকাল খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে গেলে জোব্বা পরেন, তসবি টেপেন আর ভারতে গেলে তিলক আঁকেন। তাঁর বেশভূষার ঠিক নেই। তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না।’ এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বক্তব্য চান ওই সাংবাদিক। জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আসলে খালেদা জিয়া যা বলেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, যা বিশ্বাস করেন তা তিনি বলেন না। উনি হেফাজতকে খুশি করতেই এই কথা বলেছেন। সস্তা কিছু ভোটের জন্য খালেদা জিয়া এগুলো বলছেন।’
বক্তব্যের শুরুতে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘মতিঝিলের সমাবেশে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি ১৯৯৬ সালে একদলীয় সরকারের নির্বাচন করেছিল। ওই সময় সহিংসতায় ৭০ জন মানুষ প্রাণ হারায়। এটা হলো বিএনপির চরিত্র। ২০০১ সালের নির্বাচন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এরপর তারা সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে অনেক নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়া সমালোচনা করলেও এসব কথা তিনি বলেননি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে যেভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন, সেটা কখনো আমরা বিশ্বাস করি না। তবে আমরা কোনো হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না।’
হেফাজতের ১৩ দফা দাবির ব্যাপারে অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৩ দফার প্রায় অনেকগুলো আমাদের সংবিধানে আছে। তারা নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। অথচ হাজারো নারী আজ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত। পার্লামেন্টে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে, সেনাবাহিনীতে সর্বক্ষেত্রে নারীর জয়যাত্রা। তারা এই জয়যাত্রা ব্যাহত করতে চায়। তবে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপে তা প্রতিহত করবে। এসব দাবি নিয়ে হেফাজত কখনো রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

source: prothom-alo

হেফাজতের উদ্দেশে সৈয়দ আশরাফ ঢাকা ত্যাগ করুন, শান্তিপূর্ণ আহ্বানকে দুর্বলতা ভাববেন না

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম সরাসরি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার সামরিক সরকার নয়। তাদের ক্ষমতার উত্স অস্ত্র নয়, জনগণ। তারা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে গত নির্বাচনে সরকারে এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো কারও আলটিমেটাম গ্রহণ করে নাই। এবারও করবে না। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনার আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করছি। প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিন। আলোচনার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত।’ এ সময় হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত ও বিএনপি একই দল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৈয়দ আশরাফ দেশের সাম্প্রতিক অবস্থায় দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।
হেফাজতের কর্মসূচির বিষয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম হলো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। সারা দেশে আজ যারা তুলকালাম করেছে, তা কখনো বরদাশত করা হবে না। এবার তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হয়েছে। আর কখনো তাদের ঢাকায় আসতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশে আলবদর, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে সহিংসতা শুরু করেছে। তাদের সেই প্রেতাত্মা হয়ে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা শুরু করেছে। আমি হেফাজত ইসলামকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকা ত্যাগ করুন। আমাদের শান্তিপূর্ণ আহ্বানকে দুর্বলতা ভাববেন না।’ News In Bangladesh
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার বিষয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে, যত্রতত্র গ্রেনেড ও গুলি করা হয়েছে। হেফাজতকে বলতে চাই, আপনাদের হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না। সংঘাতের দিকে এগোলে আওয়ামী লীগই আপনাদের শায়েস্তা করতে প্রস্তুত। আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশ্লীল কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ নারীদের উদ্দেশে সংযত কথা বলুন। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ দুর্বল নয়। দেশের শান্তি রক্ষায় সরকার যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’ 
হেফাজতের কর্মসূচির পরই বিএনপির আলটিমেটামের কোনো যোগসূত্র আছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, ‘এটা কাকতালীয়ভাবে হয়েছে। তবে পরে ডিজাইন করা হয়েছে।’
আলটিমেটামের পর বিএনপি যদি সহিংসতা বা তাদের ঢাকায় অবস্থান নেয়, তাহলে সরকার কী অবস্থা নেবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তারা যদি সহিংসতা করে কিংবা দেশজুড়ে সংঘাতকে উসকে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দেশ কি আবার ১/১১-এর দিকে ফিরে যাচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কখনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। হয়তো অন্য কোনো ব্যবস্থা আসতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থান প্রায় দুই মেরুতে। সুতরাং তাদের ভুলের কারণে যে সমস্যা হয়েছে, সেটা এ দেশে কখনো হবে না।’ 
বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের মধ্যে কোনো আদর্শগত মিল আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানের কার্যক্রমে বোঝা যাচ্ছে, জামায়াত-বিএনপি-হেফাজত একই দল। তাদের কর্মকাণ্ডও একই। আজকের সমাবেশে দেখবেন ওই তিন দলের লোকেরাই আছে।’
এ সময় একজন সাংবাদিক জানতে চান, গতকাল খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে গেলে জোব্বা পরেন, তসবি টেপেন আর ভারতে গেলে তিলক আঁকেন। তাঁর বেশভূষার ঠিক নেই। তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না।’ এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বক্তব্য চান ওই সাংবাদিক। জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আসলে খালেদা জিয়া যা বলেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, যা বিশ্বাস করেন তা তিনি বলেন না। উনি হেফাজতকে খুশি করতেই এই কথা বলেছেন। সস্তা কিছু ভোটের জন্য খালেদা জিয়া এগুলো বলছেন।’
বক্তব্যের শুরুতে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘মতিঝিলের সমাবেশে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি ১৯৯৬ সালে একদলীয় সরকারের নির্বাচন করেছিল। ওই সময় সহিংসতায় ৭০ জন মানুষ প্রাণ হারায়। এটা হলো বিএনপির চরিত্র। ২০০১ সালের নির্বাচন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এরপর তারা সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে অনেক নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়া সমালোচনা করলেও এসব কথা তিনি বলেননি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে যেভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন, সেটা কখনো আমরা বিশ্বাস করি না। তবে আমরা কোনো হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না।’
হেফাজতের ১৩ দফা দাবির ব্যাপারে অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৩ দফার প্রায় অনেকগুলো আমাদের সংবিধানে আছে। তারা নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। অথচ হাজারো নারী আজ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত। পার্লামেন্টে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে, সেনাবাহিনীতে সর্বক্ষেত্রে নারীর জয়যাত্রা। তারা এই জয়যাত্রা ব্যাহত করতে চায়। তবে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপে তা প্রতিহত করবে। এসব দাবি নিয়ে হেফাজত কখনো রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

source: prothom-alo

Wednesday, 1 May 2013

Collected by nahidworld
সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মোট ৪০৩টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৪টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
News24
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ২৪ ও মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ২২টি লাশ রাখা আছে। সাভারের অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে আটটি লাশ।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত অবস্থায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ কারণে এখন জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তির সংখ্যা দুই হাজার ৪৩৫।
হাইড্রোলিক ক্রেন, হাইড্রোলিক ভাইব্রেটরসহ অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ এগিয়ে চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে আরও ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে স্বজনদের সমাগম বেড়েই চলেছে।
গত রোববার রাত ১২টা থেকে ভারী যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ধার তত্পরতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২০০ টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়। ভারী যন্ত্রের পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

source: prothom-alo

সাভারে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে

Collected by nahidworld
সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মোট ৪০৩টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৪টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
News24
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ২৪ ও মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ২২টি লাশ রাখা আছে। সাভারের অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে আটটি লাশ।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত অবস্থায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ কারণে এখন জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তির সংখ্যা দুই হাজার ৪৩৫।
হাইড্রোলিক ক্রেন, হাইড্রোলিক ভাইব্রেটরসহ অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধারকাজ এগিয়ে চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে আরও ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে স্বজনদের সমাগম বেড়েই চলেছে।
গত রোববার রাত ১২টা থেকে ভারী যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ধার তত্পরতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২০০ টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়। ভারী যন্ত্রের পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

source: prothom-alo
মে দিবস তো কী হইছে! কাজ না করলে খামু কি?’
আজ বুধবার সকালে এ কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিজানুর সওদাগর। পেশায় তিনি দিনমজুর। মহান মে দিবসের এই দিনে যখন সারা বিশ্ব নিপীড়িত শ্রমিকদের স্মরণ করছে, মিজানুর তখন রাজধানীর মিরপুরে একটি পুরোনো ভবন ভাঙার কাজে হাতুড়ি চালাচ্ছিলেন।
প্রতিদিনের মতো বৈশাখের প্রচণ্ড গরমে ত্রিশোর্ধ্ব মিজানুরের শরীর গড়িয়ে অঝোর ধারায় ঘাম নেমেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সোহেল রানা, এমদাদুল, আজিজুলরা একইভাবে তৃতীয় তলা ভবনটি ভাঙছিলেন। এই শ্রমের বিনিময়ে আসবে মজুরির টাকা। তা দিয়ে চলবে জীবিকা, সচল থাকবে সংসারের চাকা।
মে দিবসের ইতিহাস পুরোপুরি জানা নেই মিজানুরের। তবে শ্রমিকদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করার দাবি আদায়ের কথা জানেন তিনি। মিজানুর বলেন, ‘আইজ সবাই কয় কাজ করা ঠিক না। তয় আমাগো ট্যাকা কেডা দিব, হেইড্যা কেউই কয় না। আর ট্যাকা না পাইলে খামু কি?’ 
News24
মিজানুর জানান, তাঁদের প্রতিদিনের মজুরি ৩০০ টাকা। তাঁদের মালিক সগীর সওদাগর তৃতীয় তলার এই ভবন ভাঙার ঠিকাদার। এক দিন কাজ না করলে মজুরির টাকা দেবেন না মালিক। টাকা না পেলে খাওয়া তো দূরে থাক, বাসা ভাড়া জোগাড় করা কষ্টকর। মিজানুর বলেন, ‘মজুরির টাকা থ্যাইক্যা কিছুটা রাইখ্যা দিয়া বাগেরহাটে গেরামের বাড়ি পাঠামু।’
মিজানুরদের দাবিতেই আজ মে দিবসে কাজ করানো হচ্ছে বলে দাবি করেন সগীর সওদাগর। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘আজ কি শ্রমিকদের বোনাস দেয়া যেত না?’ জবাবে মাথা চুলকাতে থাকেন সগীর।
মোহাম্মদপুরে একটি সিমেন্টের দোকানের রিকশাভ্যানের চালক বজলুর রহমান বলেন, ‘একটা বিল্ডিংয়ের ঢালাই হবে, তাই ভ্যানে সিমেন্ট নিয়া যাইতাছি। মে দিবসের কথা কইছি মালিকরে। কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই।’
সরকারি কাজের দিনমজুর হারুন মিয়া অবশ্য কাজ করতে না পেরে খুব মন খারাপ করেছেন। কোদাল-টুকরি নিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় তিনি জানান, শেওড়াপাড়ায় কেবল বাসানোর কাজ করছেন এখন। তবে মে দিবসে যে কাজ হবে না, তা গতকাল তাঁদের জানানো হয়নি। তাই কর্মস্থলে গিয়েও মজুরিশূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে পঞ্চাশোর্ধ্ব হারুন মিয়াকে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই, এমনিতেই সরকারি কাজে মজুরি কম, দিনে মাত্র ২৮০ টাকা, তার ওপর আজ কাজ বন্ধ। ট্যাকা তো আর এমনি এমনি দিব না। এখন কী করুম? মে দিবস আমাগো লাইগ্যা না।’

source: prothom-alo

‘কাজ না করলে খামু কি?’

মে দিবস তো কী হইছে! কাজ না করলে খামু কি?’
আজ বুধবার সকালে এ কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিজানুর সওদাগর। পেশায় তিনি দিনমজুর। মহান মে দিবসের এই দিনে যখন সারা বিশ্ব নিপীড়িত শ্রমিকদের স্মরণ করছে, মিজানুর তখন রাজধানীর মিরপুরে একটি পুরোনো ভবন ভাঙার কাজে হাতুড়ি চালাচ্ছিলেন।
প্রতিদিনের মতো বৈশাখের প্রচণ্ড গরমে ত্রিশোর্ধ্ব মিজানুরের শরীর গড়িয়ে অঝোর ধারায় ঘাম নেমেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সোহেল রানা, এমদাদুল, আজিজুলরা একইভাবে তৃতীয় তলা ভবনটি ভাঙছিলেন। এই শ্রমের বিনিময়ে আসবে মজুরির টাকা। তা দিয়ে চলবে জীবিকা, সচল থাকবে সংসারের চাকা।
মে দিবসের ইতিহাস পুরোপুরি জানা নেই মিজানুরের। তবে শ্রমিকদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করার দাবি আদায়ের কথা জানেন তিনি। মিজানুর বলেন, ‘আইজ সবাই কয় কাজ করা ঠিক না। তয় আমাগো ট্যাকা কেডা দিব, হেইড্যা কেউই কয় না। আর ট্যাকা না পাইলে খামু কি?’ 
News24
মিজানুর জানান, তাঁদের প্রতিদিনের মজুরি ৩০০ টাকা। তাঁদের মালিক সগীর সওদাগর তৃতীয় তলার এই ভবন ভাঙার ঠিকাদার। এক দিন কাজ না করলে মজুরির টাকা দেবেন না মালিক। টাকা না পেলে খাওয়া তো দূরে থাক, বাসা ভাড়া জোগাড় করা কষ্টকর। মিজানুর বলেন, ‘মজুরির টাকা থ্যাইক্যা কিছুটা রাইখ্যা দিয়া বাগেরহাটে গেরামের বাড়ি পাঠামু।’
মিজানুরদের দাবিতেই আজ মে দিবসে কাজ করানো হচ্ছে বলে দাবি করেন সগীর সওদাগর। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘আজ কি শ্রমিকদের বোনাস দেয়া যেত না?’ জবাবে মাথা চুলকাতে থাকেন সগীর।
মোহাম্মদপুরে একটি সিমেন্টের দোকানের রিকশাভ্যানের চালক বজলুর রহমান বলেন, ‘একটা বিল্ডিংয়ের ঢালাই হবে, তাই ভ্যানে সিমেন্ট নিয়া যাইতাছি। মে দিবসের কথা কইছি মালিকরে। কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই।’
সরকারি কাজের দিনমজুর হারুন মিয়া অবশ্য কাজ করতে না পেরে খুব মন খারাপ করেছেন। কোদাল-টুকরি নিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় তিনি জানান, শেওড়াপাড়ায় কেবল বাসানোর কাজ করছেন এখন। তবে মে দিবসে যে কাজ হবে না, তা গতকাল তাঁদের জানানো হয়নি। তাই কর্মস্থলে গিয়েও মজুরিশূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে পঞ্চাশোর্ধ্ব হারুন মিয়াকে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই, এমনিতেই সরকারি কাজে মজুরি কম, দিনে মাত্র ২৮০ টাকা, তার ওপর আজ কাজ বন্ধ। ট্যাকা তো আর এমনি এমনি দিব না। এখন কী করুম? মে দিবস আমাগো লাইগ্যা না।’

source: prothom-alo
পাকিস্তানের পেশোয়ার হাইকোর্ট দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের রাজনীতি সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দোস্ত মোহাম্মদের নেতৃত্বধীন হাইকোর্টের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ দুই দফা সংবিধান লঙ্ঘন এবং অবৈধভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দায়ে এই সিদ্ধান্ত নেন। আদালাত বলেছেন, পারভেজ মোশাররফ আগামীতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ, সিনেট কিংবা প্রাদেশিক পরিষদের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
Bangladeshi News24
জেনারেল পারভেজ মোশাররফ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান থাকাকালে ১৯৯৯ সালে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। পূর্বসূরি আইউব খান, ইয়াহিয়া খান ও জিয়াউল হকের মতো তিনিও দেশের দুরবস্থার জন্য ঢালাওভাবে রাজনীতিকদের ওপর দোষ চাপান। আবার কিছুদিন না যেতেই নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে এনে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। দীর্ঘ নির্বাসন কাটিয়ে গত মাসে দেশে ফিরে আসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেয়। সেই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে পেশোয়ার হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন। বেনজির ভুট্টোর হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু মামলায় তিনি অভিযুক্ত এবং নিজ বাড়িতে অন্তরীণ রয়েছেন।
পাকিস্তানে প্রতি দশকেই একজন উর্দিপরা ত্রাতা আসেন। তাঁরা দেশকে উদ্ধার করতে না পারলেও নিজেদের উদ্ধার করেন। ২০০৭ সালে যে চুক্তির মাধ্যমে পারভেজ মোশাররফ বেনজির ভুট্টোকে দেশে আসার এবং রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নিয়েছিলেন, সেই চুক্তি তাঁর বা তাঁর উত্তরসূরি আসিফ আলী জারদারির রক্ষাকবচ হয়নি। তাঁর সবচেয়ে আত্মঘাতী কাজ ছিল প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করা এবং বিচারপতিদের অন্তরীণ করে রাখা। বেনজির হত্যা মামলার পাশাপাশি বিচারক হয়রানির মামলাটি এখনো তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি যে কেবল নির্বাচনী লড়াই থেকে বাদ পড়েছেন তা-ই নয়, নাগরিক হিসেবে তিনি ভোটটি দিতে পারবেন কি না, সন্দেহ আছে। কেননা, তাঁর অন্তরীণের আদেশ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। ১১ মের নির্বাচনে তাঁকে নিজ গৃহে বন্দী থাকতে হবে। 
পাকিস্তানের উচ্চ আদালত যখন পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসকের সব ধরনের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তখন বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কখনো তিনি আগামী নির্বাচনে কিং মেকার হবেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন, কখনো নিজেই কিং হওয়ার খোয়াব দেখছেন। সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মহাজোট জোরদার করার কথা বললে বিকেলেই হয়তো দলীয় সভায় জোট ছাড়ার আওয়াজ তোলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বিতর্কিত, সবচেয়ে ধিক্কৃত ব্যক্তি রাজনীতির মাঠ সরগরম করতে পারছেন গণতন্ত্রের দুই প্রধান দাবিদার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ব্যর্থতা ও দুর্বলতার কারণে। এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বন্দুকের নলের মুখে দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তাঁর নয় বছরের শাসন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। তিনিও পূর্বসূরি জিয়াউর রহমানের মতো সত্ ‘রাজনীতিকে কঠিন’ করে দিয়ে কেনাবেচার রাজনীতি শুরু করেন। পাইকারিহারে বিরোধী দলের নেতাদের জেলে পোরেন। আফসোসের কথা, নূর হোসেন, তাজুল, সেলিম, দেলোয়ারসহ অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে যাঁর হাত রঞ্জিত, সেই স্বৈরশাসকই আজ আমাদের গণতন্ত্র সম্পর্কে দিনরাত সবক দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে যে আদর্শিক সংকট চলছে, মৌলবাদী গোষ্ঠী রাষ্ট্রের মৌল চরিত্র বদলে দেওয়ার দাবি তুলছে, তার ক্ষেত্রটি কিন্তু প্রস্তুত করেছিলেন দুই সামরিক শাসক—জিয়াউর রহমান ও এরশাদ। তাঁরা দুজনই জোর করে বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও রাজাকারদের পুনর্বাসন করেন, একজন রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী করেন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রে মৌল আদর্শ বদলে দিয়ে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী আনেন। আর এমন কোনো অনাচার নেই যা এরশাদ করেননি। তিনি রাষ্ট্রধর্ম চালু করেন। যদিও ধর্মের চেয়ে অধর্মের প্রতিই তাঁর ঝোঁক বেশি ছিল এবং এখনো আছে। 
পাকিস্তানে পারভেজ মোশাররফ সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার জন্য যদি চিরদিনের জন্য তাঁর রাজনীতি করা নিষিদ্ধ হতে পারে, বাংলাদেশে একই কাজ যিনি বা যাঁরা করেছেন, তিনি বা তাঁরা কেন নিষিদ্ধ হবেন না। তত্ত্বাধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বিচারপতি খায়রুল হক বিতর্কিত হয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে তিনি রাজনীতির অঙ্গনে একটি অহেতুক বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বলেও অনেকে মনে করেন। 
কিন্তু সংবিধানের পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী সম্পর্কে তাঁর রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই রায়ই প্রথম জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর সপ্তম সংশোধনীর বিষয়েও একই রকম রায় আসে।
কিন্তু পাকিস্তানের আদালত অবৈধ ক্ষমতাদখলকারীর রাজনৈতিক ক্ষমতা কেড়ে নিলেও বাংলাদেশের আদালত সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। কেবল সামরিক শাসনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারীর বিরুদ্ধেও রায় চাই। তাহলে ভবিষ্যতে কেউ সংবিধান লংঘনের ঘটনা ঘটাতে সাহস পাবেন না। 
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী আওয়ামী লীগ বায়াত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার ফাঁকা আওয়াজ তুললেও মূল সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করেনি; যদিও আদালতের রায়ে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। 
এই সুযোগে সাবেক স্বৈরাচার ও সাবেক রাজাকার— দুই প্রধান দলের ওপর সওয়ার হয়েছে। আর রণহুংকার ছাড়ছে ‘ধর্ম রক্ষার ফেরিওয়ালারা।’

source: prothom-alo

মোশাররফ নিষিদ্ধ হলে এরশাদ নয় কেন?

পাকিস্তানের পেশোয়ার হাইকোর্ট দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের রাজনীতি সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দোস্ত মোহাম্মদের নেতৃত্বধীন হাইকোর্টের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ দুই দফা সংবিধান লঙ্ঘন এবং অবৈধভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দায়ে এই সিদ্ধান্ত নেন। আদালাত বলেছেন, পারভেজ মোশাররফ আগামীতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ, সিনেট কিংবা প্রাদেশিক পরিষদের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
Bangladeshi News24
জেনারেল পারভেজ মোশাররফ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান থাকাকালে ১৯৯৯ সালে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। পূর্বসূরি আইউব খান, ইয়াহিয়া খান ও জিয়াউল হকের মতো তিনিও দেশের দুরবস্থার জন্য ঢালাওভাবে রাজনীতিকদের ওপর দোষ চাপান। আবার কিছুদিন না যেতেই নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে এনে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। দীর্ঘ নির্বাসন কাটিয়ে গত মাসে দেশে ফিরে আসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেয়। সেই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে পেশোয়ার হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন। বেনজির ভুট্টোর হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু মামলায় তিনি অভিযুক্ত এবং নিজ বাড়িতে অন্তরীণ রয়েছেন।
পাকিস্তানে প্রতি দশকেই একজন উর্দিপরা ত্রাতা আসেন। তাঁরা দেশকে উদ্ধার করতে না পারলেও নিজেদের উদ্ধার করেন। ২০০৭ সালে যে চুক্তির মাধ্যমে পারভেজ মোশাররফ বেনজির ভুট্টোকে দেশে আসার এবং রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নিয়েছিলেন, সেই চুক্তি তাঁর বা তাঁর উত্তরসূরি আসিফ আলী জারদারির রক্ষাকবচ হয়নি। তাঁর সবচেয়ে আত্মঘাতী কাজ ছিল প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করা এবং বিচারপতিদের অন্তরীণ করে রাখা। বেনজির হত্যা মামলার পাশাপাশি বিচারক হয়রানির মামলাটি এখনো তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি যে কেবল নির্বাচনী লড়াই থেকে বাদ পড়েছেন তা-ই নয়, নাগরিক হিসেবে তিনি ভোটটি দিতে পারবেন কি না, সন্দেহ আছে। কেননা, তাঁর অন্তরীণের আদেশ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। ১১ মের নির্বাচনে তাঁকে নিজ গৃহে বন্দী থাকতে হবে। 
পাকিস্তানের উচ্চ আদালত যখন পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসকের সব ধরনের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তখন বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কখনো তিনি আগামী নির্বাচনে কিং মেকার হবেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন, কখনো নিজেই কিং হওয়ার খোয়াব দেখছেন। সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মহাজোট জোরদার করার কথা বললে বিকেলেই হয়তো দলীয় সভায় জোট ছাড়ার আওয়াজ তোলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বিতর্কিত, সবচেয়ে ধিক্কৃত ব্যক্তি রাজনীতির মাঠ সরগরম করতে পারছেন গণতন্ত্রের দুই প্রধান দাবিদার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ব্যর্থতা ও দুর্বলতার কারণে। এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বন্দুকের নলের মুখে দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। তাঁর নয় বছরের শাসন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। তিনিও পূর্বসূরি জিয়াউর রহমানের মতো সত্ ‘রাজনীতিকে কঠিন’ করে দিয়ে কেনাবেচার রাজনীতি শুরু করেন। পাইকারিহারে বিরোধী দলের নেতাদের জেলে পোরেন। আফসোসের কথা, নূর হোসেন, তাজুল, সেলিম, দেলোয়ারসহ অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে যাঁর হাত রঞ্জিত, সেই স্বৈরশাসকই আজ আমাদের গণতন্ত্র সম্পর্কে দিনরাত সবক দিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে যে আদর্শিক সংকট চলছে, মৌলবাদী গোষ্ঠী রাষ্ট্রের মৌল চরিত্র বদলে দেওয়ার দাবি তুলছে, তার ক্ষেত্রটি কিন্তু প্রস্তুত করেছিলেন দুই সামরিক শাসক—জিয়াউর রহমান ও এরশাদ। তাঁরা দুজনই জোর করে বন্দুকের নলে ক্ষমতায় এসে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও রাজাকারদের পুনর্বাসন করেন, একজন রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী করেন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রে মৌল আদর্শ বদলে দিয়ে সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী আনেন। আর এমন কোনো অনাচার নেই যা এরশাদ করেননি। তিনি রাষ্ট্রধর্ম চালু করেন। যদিও ধর্মের চেয়ে অধর্মের প্রতিই তাঁর ঝোঁক বেশি ছিল এবং এখনো আছে। 
পাকিস্তানে পারভেজ মোশাররফ সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার জন্য যদি চিরদিনের জন্য তাঁর রাজনীতি করা নিষিদ্ধ হতে পারে, বাংলাদেশে একই কাজ যিনি বা যাঁরা করেছেন, তিনি বা তাঁরা কেন নিষিদ্ধ হবেন না। তত্ত্বাধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বিচারপতি খায়রুল হক বিতর্কিত হয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে তিনি রাজনীতির অঙ্গনে একটি অহেতুক বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বলেও অনেকে মনে করেন। 
কিন্তু সংবিধানের পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী সম্পর্কে তাঁর রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই রায়ই প্রথম জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর সপ্তম সংশোধনীর বিষয়েও একই রকম রায় আসে।
কিন্তু পাকিস্তানের আদালত অবৈধ ক্ষমতাদখলকারীর রাজনৈতিক ক্ষমতা কেড়ে নিলেও বাংলাদেশের আদালত সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। কেবল সামরিক শাসনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারীর বিরুদ্ধেও রায় চাই। তাহলে ভবিষ্যতে কেউ সংবিধান লংঘনের ঘটনা ঘটাতে সাহস পাবেন না। 
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী আওয়ামী লীগ বায়াত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার ফাঁকা আওয়াজ তুললেও মূল সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করেনি; যদিও আদালতের রায়ে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। 
এই সুযোগে সাবেক স্বৈরাচার ও সাবেক রাজাকার— দুই প্রধান দলের ওপর সওয়ার হয়েছে। আর রণহুংকার ছাড়ছে ‘ধর্ম রক্ষার ফেরিওয়ালারা।’

source: prothom-alo

Tuesday, 30 April 2013

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক্যবাদীদের সঙ্গ ছেড়ে তওবা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে আস্তিক্যবাদীদের সঙ্গে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
BD News24
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত ‘শানে রিসালত’ মহাসমাবেশে শাহ আহমদ শফী এই আহ্বান জানান। তিনি আগামী ৫ মের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘১৩ দফা মেনে নিন। না হলে ৫ তারিখে এ দেশ কোন দিকে যাবে, তা আমি জানি না।’ 
আহমদ শফী বলেন, ‘সরকারকে জানাইতেছি, নেত্রীকে জানাইতেছি, তওবা কইরা ১৩ দফা মেনে নিন। ১৩ দফা কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। এই ১৩ দফা দাবির একমাত্র দাবি নাস্তিকদের এ দেশ থেকে তাড়াতে হবে। নাস্তিকবাদীরা এ দেশে থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘সরকার আমার কাছে বার বার লোক পাঠাইছে। আমি বলেছি, আমি একা কোনো ফয়সালা দিতে পারব না। তারা বলে, তোমাদের দাবি মানব। আমি বলেছি, দাবি মাইনা ঘোষণা দিতে হবে। তোমাদের পলিসি আমরা বুঝি। আমরা বেকুব না। আমাদের ধোঁকা দিতে চাইছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আর ধোঁকা খাব না। হয় আমাদের দাবি মানবেন, না হয় শাহাদতবরণ করব।’
নারীদের রাস্তায় চলাফেরা ও পোশাক পরার প্রতি ইঙ্গিত করে শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চলে, বাংলাদেশের নারীদের ওইভাবে চলতে হবে।’ 
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া আল-কওমিয়া বাংলাদেশের (উত্তরবঙ্গ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) ব্যবস্থাপনায় এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উত্তরবঙ্গের সভাপতি বগুড়ার জামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আবদুর রহমান মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি (ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি) নূর হোসাইন কাশেমী বলেন, সাভার ট্র্যাজেডি আল্লাহর গজব। এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। ২৭ এপ্রিল নারী সমাবেশ করার পাঁয়তারা করায় এসব গজব নাজিল হয়েছে।’ 
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মুফতি হারুন ইযাহার, মুফতি ওয়াক্কাস, আবদুল লতিফ নিজামি, আবদুর রউফ ইউসুফী, আবদুর রকিব, মহিউদ্দিন আকরাম, বগুড়া জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা শামছুল ইসলাম প্রমুখ।
বেলা ১১টা থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়। সংগঠনের প্রধান আল্লামা আহমদ শফী বেলা তিনটারর দিকে চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে বগুড়ায় আসেন। তিনি শহরের বনানীতে সুলতানগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামেন। সেখান থেকে জামিল মাদ্রাসায় বিশ্রাম করে বিকেল চারটায় মহাসমাবেশে যোগ দেন। এই মহাসমাবেশে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে হেফাজতের কর্মীরা যোগ দেন। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও শার্ট ও গেঞ্জি পরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষকে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে বিএনপি-সমর্থিত চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) পক্ষ থেকে চিকিত্সা ক্যাম্প খোলা হয়। 
এদিকে গত শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই মহাসমাবেশে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা জানানো হয়েছিল। বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা বলা হলেও সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। 

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অবরুদ্ধ বগুড়া শহর
হেফাজতে ইসলামের এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ বগুড়া শহর কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার অদূরে সূত্রাপুরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই হেফাজতে ইসলামের স্বেচ্ছাসেবীরা অবস্থান নেন। বেশ কয়েকটি সড়ক নিজেরাই বন্ধ করে দিয়ে বাইরের জেলা থেকে আসা কর্মী বহনকারী যানবাহন প্রবেশের সুযোগ করে দেন। এতে ওই সব এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
মহাসমাবেশ বেলা ১১টায় ডাকা হলেও সকাল নয়টার পর থেকেই শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর সড়ক, গোহাইল সড়ক, স্টেশন সড়ক, জব্বার সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি সড়কে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সাতমাথা-শেরপুর সড়কের পিটিআই মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের দোকানপাটও বন্ধ ছিল। একই অবস্থা ছিল গোহাইল ও স্টেশন সড়কে। জলেশ্বরীতলা এলাকার অনেক বিপণিবিতান ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিনভর বন্ধ রাখেন।

source: prothom-alo

বগুড়ায় মহাসমাবেশে আহমদ শফী, ৫ তারিখে দেশ কোন দিকে যাবে জানি না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক্যবাদীদের সঙ্গ ছেড়ে তওবা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে আস্তিক্যবাদীদের সঙ্গে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
BD News24
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত ‘শানে রিসালত’ মহাসমাবেশে শাহ আহমদ শফী এই আহ্বান জানান। তিনি আগামী ৫ মের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘১৩ দফা মেনে নিন। না হলে ৫ তারিখে এ দেশ কোন দিকে যাবে, তা আমি জানি না।’ 
আহমদ শফী বলেন, ‘সরকারকে জানাইতেছি, নেত্রীকে জানাইতেছি, তওবা কইরা ১৩ দফা মেনে নিন। ১৩ দফা কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। এই ১৩ দফা দাবির একমাত্র দাবি নাস্তিকদের এ দেশ থেকে তাড়াতে হবে। নাস্তিকবাদীরা এ দেশে থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘সরকার আমার কাছে বার বার লোক পাঠাইছে। আমি বলেছি, আমি একা কোনো ফয়সালা দিতে পারব না। তারা বলে, তোমাদের দাবি মানব। আমি বলেছি, দাবি মাইনা ঘোষণা দিতে হবে। তোমাদের পলিসি আমরা বুঝি। আমরা বেকুব না। আমাদের ধোঁকা দিতে চাইছে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আর ধোঁকা খাব না। হয় আমাদের দাবি মানবেন, না হয় শাহাদতবরণ করব।’
নারীদের রাস্তায় চলাফেরা ও পোশাক পরার প্রতি ইঙ্গিত করে শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চলে, বাংলাদেশের নারীদের ওইভাবে চলতে হবে।’ 
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া আল-কওমিয়া বাংলাদেশের (উত্তরবঙ্গ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) ব্যবস্থাপনায় এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উত্তরবঙ্গের সভাপতি বগুড়ার জামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আবদুর রহমান মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি (ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি) নূর হোসাইন কাশেমী বলেন, সাভার ট্র্যাজেডি আল্লাহর গজব। এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। ২৭ এপ্রিল নারী সমাবেশ করার পাঁয়তারা করায় এসব গজব নাজিল হয়েছে।’ 
মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির মুফতি হারুন ইযাহার, মুফতি ওয়াক্কাস, আবদুল লতিফ নিজামি, আবদুর রউফ ইউসুফী, আবদুর রকিব, মহিউদ্দিন আকরাম, বগুড়া জেলা কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা শামছুল ইসলাম প্রমুখ।
বেলা ১১টা থেকে মহাসমাবেশ শুরু হয়। সংগঠনের প্রধান আল্লামা আহমদ শফী বেলা তিনটারর দিকে চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে বগুড়ায় আসেন। তিনি শহরের বনানীতে সুলতানগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামেন। সেখান থেকে জামিল মাদ্রাসায় বিশ্রাম করে বিকেল চারটায় মহাসমাবেশে যোগ দেন। এই মহাসমাবেশে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে হেফাজতের কর্মীরা যোগ দেন। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও শার্ট ও গেঞ্জি পরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষকে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে বিএনপি-সমর্থিত চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) পক্ষ থেকে চিকিত্সা ক্যাম্প খোলা হয়। 
এদিকে গত শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই মহাসমাবেশে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা জানানো হয়েছিল। বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বলেন, আয়োজকদের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ লোকের সমাগমের কথা বলা হলেও সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। 

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অবরুদ্ধ বগুড়া শহর
হেফাজতে ইসলামের এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ বগুড়া শহর কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার অদূরে সূত্রাপুরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই হেফাজতে ইসলামের স্বেচ্ছাসেবীরা অবস্থান নেন। বেশ কয়েকটি সড়ক নিজেরাই বন্ধ করে দিয়ে বাইরের জেলা থেকে আসা কর্মী বহনকারী যানবাহন প্রবেশের সুযোগ করে দেন। এতে ওই সব এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
মহাসমাবেশ বেলা ১১টায় ডাকা হলেও সকাল নয়টার পর থেকেই শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, শেরপুর সড়ক, গোহাইল সড়ক, স্টেশন সড়ক, জব্বার সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি সড়কে হেফাজতের কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সাতমাথা-শেরপুর সড়কের পিটিআই মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের দোকানপাটও বন্ধ ছিল। একই অবস্থা ছিল গোহাইল ও স্টেশন সড়কে। জলেশ্বরীতলা এলাকার অনেক বিপণিবিতান ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিনভর বন্ধ রাখেন।

source: prothom-alo